৩৭তম জাতীয় বয়সভিত্তিক সাঁতার ও ডাইভিং প্রতিযোগিতা শুরু হচ্ছে বুধবার (২১ মে)।
মঙ্গলবার (২০ মে) বাংলাদেশ অলিম্পিক এসোসিয়েশন ভবনের অডিটোরিয়ামে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রতিযোগিতার বিস্তারিত জানান সুইমিং ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান শাহীন। এ সময় ফেডারেশনের যুগ্ম সম্পাদক নিবেদিতা দাস ও নৌবাহিনীর কমান্ডার আলিমুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
মিরপুর জাতীয় সুইমিং কমপ্লেক্সে চার দিনব্যাপী এই প্রতিযোগিতায় বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থা, জেলা ক্রীড়া সংস্থা, সুইমিং ক্লাব, বিকেএসপিসহ মোট ৮০টি দলের প্রায় ৫৫০ জন সাঁতারু অংশ নিচ্ছেন।
বয়সভিত্তিক সাঁতার প্রতিযোগিতায় বালক-বালিকা ৫টি গ্রুপে (অনুর্ধ ১০, ১১-১২, ১৩-১৪, ১৫-১৭ ও ১৮-২০ যুবক-যুবতী) সাঁতারুরা অংশগ্রহণ করবে। সাঁতারে ১০০ টি ইভেন্ট ও ডাইভিং এ ৪টি ইভেন্টসহ (১ মিঃ স্প্রিং বোর্ড, ৩ মিঃ স্প্রিং বোর্ড, ৫ মি: প্ল্যাটফর্ম ডাইভিং ও বালিকাদের ১ মি: স্প্রিং বোর্ড) মোট ১০৪টি ইভেন্ট অনুষ্ঠিত হবে। মিরপুর সুইমিং কমপ্লেক্সে ডাইভিং পুলে ডাইভিং প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে।
বিজয়ী সাঁতারুদের স্বর্ণ, রৌপ্য ও ব্রোঞ্জ পদক প্রদান করা হবে। দলগত চ্যাম্পিয়ন ও রানার্স আপ দলকে ট্রফি দেয়া হবে। এছাড়া বালক ও বালিকা বিভাগে সেরা সাঁতারুকে ব্যক্তিগত ট্রফি এবং আর্থিক পুরস্কার প্রদান করা হবে।
সারা দেশ থেকে প্রতিভাবান সাঁতারু খুঁজে বের করতে এরই মধ্যে শুরু হয়েছে ‘সেরা সাঁতারুর খোঁজে বাংলাদেশ’। এবার প্রথমবারের মতো আন্ত:স্কুল সাঁতার প্রতিযোগিতাও শুরু করতে যাচ্ছে সুইমিং ফেডারেশন।
সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান শাহীন বলেন, ‘জুলাই মাসের মাঝামাঝি সময়ে আমরা আন্ত:স্কুল সাঁতার প্রতিযোগিতা শুরু করতে চাই। এটা প্রথম আন্ত:স্কুল টুর্নামেন্ট। এখানে ইংলিশ মিডিয়াম ও বাংলা মিডিয়ামের ছেলে মেয়েরা অংশগ্রহণ করবে। আমরা চাচ্ছি প্রতিটা বিভাগেই এই কার্যক্রম চালাতে। আমরা প্রথম শুরু করবো ঢাকা বিভাগ দিয়ে।’
তিনি বলেন, আশা করছি এখান থেকে অনেক ভালো সাঁতারু বের হয়ে আসবে। আমরা যদি এখান থেকে ভালো সাঁতারু পাই তাহলে তাদেরকেও আমরা ট্যালেন্ট হান্ট প্রোগ্রামে যুক্ত করে নেব। এছাড়া আগামীকাল থেকে আমাদের যে জাতীয় সাঁতার শুরু হচ্ছে এখানেও যারা ভালো করবে তাদেরকে আমরা ট্যালেন্ট হান্ট প্রক্রিয়ায় অন্তর্ভুক্ত করবো।’ সূত্র: বাসস
বিডি প্রতিদিন/নাজিম