তাইওয়ান নিয়ে নতুন শ্বেতপত্র প্রকাশ করেছে চীন। পূর্বে স্বশাসিত দ্বীপ রাষ্ট্রটিতে প্রশাসক কিংবা সেনা না পাঠানোর অঙ্গীকার ছিল বেইজিংয়ের। কিন্তু নতুন শ্বেতপত্রে সেই অঙ্গীকার থেকে সরে এসেছে দেশটি।
রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের এই শ্বেতপত্রে স্বাক্ষরের মাধ্যমে তাইওয়ান পূর্বের তুলনায় কম স্বায়ত্তশাসন ক্ষমতা পাবে।
সম্প্রতি চীনের হুমকি সত্ত্বেও তাইওয়ান সফরে আসেন মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি। এর পরদিনই চীন তাইওয়ানের চারপাশে বিশাল সামরিক মহড়া শুরু করে। এক দফা মহড়ার সময়সীমাও বৃদ্ধি করে বেইজিং। অবশ্য বুধবার শ্বেতপত্র প্রকাশের পর মহড়া সপ্তাহের ঘোষণা দিয়েছে চীন।
রয়টার্সের খবর অনুসারে, তাইওয়ান নিয়ে পূর্বে ১৯৯৩ এবং ২০০০ সালে দুটি শ্বেতপত্রে চীন সেখানে প্রশাসক কিংবা সেনা না পাঠানার অঙ্গীকার করেছিল। তবে চীনের সর্বশেষ শ্বেতপত্রে সে বিষয়টি নেই।
১৯৪৯ সাল থেকে তাইওয়ান চীনের হুমকির মধ্যে বসবাস করছে। ওই বছর গণপ্রজাতন্ত্রী চীন সরকার কমিউনিস্ট পার্টির নেতা মাও সেতুংয়ের কাছে পরাজিত হওয়ার পর তাইওয়ানে পালিয়ে যায়।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল