ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযানের ছয় মাস পেরিয়ে গেছে। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি এক টেলিভিশন ভাষণে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনের ডনবাস অঞ্চলে এক ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ শুরু করার ঘোষণা দেন।
ইউক্রেনে রুশ অভিযানকে কেন্দ্র করে মস্কোর উপর বেশ কয়েকটি নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে রাশিয়ার বিরুদ্ধে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও যুক্তরাষ্ট্রে নানা রকমের পণ্য রপ্তানি করছে মস্কো এবং তা থেকে শত শত ডলার আয় হচ্ছে। তবে এসব পণ্যের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়নি।
গতকাল শুক্রবার মার্কিন বার্তা সংস্থা এপির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে রাশিয়া সামরিক অভিযান শুরু করে। রাশিয়ার এই অভিযানের প্রতিবাদে যুক্তরাষ্ট্র এবং পশ্চিমা দেশগুলো মস্কোর বিরুদ্ধে হাজার হাজার নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। এরপরও ফেব্রুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত রাশিয়া অন্তত ৩,৬০০টি পণ্যের চালান পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। এসব পণ্যের মধ্যে রয়েছে কাঠ, ধাতব পদার্থ, রাবার এবং অন্যান্য জিনিস।
অবশ্য গত বছরের একই সময়ে রাশিয়া থেকে যুক্তরাষ্ট্রে ৬,০০০ চালান পাঠানো হয়েছিল। সে হিসাবে এবার মার্কিন বন্দরগুলোতে রাশিয়ার পণ্যের চালান অনেক কমেছে কিন্তু তারপরেও প্রতিমাসে রাশিয়া যুক্তরাষ্ট্রে পণ্য পাঠিয়ে ১০০ কোটিরও বেশি ডলার আয় করছে।
রাশিয়া থেকে প্রায় প্রতিদিন যুক্তরাষ্ট্রের বন্দরে জাহাজ ভিড়ছে। যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়ার যে সমস্ত পণ্যের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে তাতে রাশিয়ার যতটা ক্ষতি হচ্ছে তার চেয়ে সম্ভবত বেশি ক্ষতি হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের। যুক্তরাষ্ট্রের কোনো কোনো আমদানিকারক হয়তো এ সমস্ত পণ্যের জন্য বিকল্প ব্যবস্থা করতে পেরেছেন, তবে অনেকেই তা পারেননি।
সূত্র: এপি।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন