যুক্তরাজ্য সরকারের কর কমানোর পরিকল্পনার ব্যাপারে প্রকাশ্যে সমালোচনা করেছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। সংস্থাটি এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, কর কমানো হলে দেশটিতে বৈষম্য বাড়বে এবং বিভিন্ন পণ্যের দাম আগের তুলনায় বৃদ্ধি পাবে। ইতোমধ্যেই আন্তর্জাতিক বাজারে পাউন্ডের দরপতন হয়েছে।
তবে, প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাসের সরকার জানিয়েছে, নতুন এই পদক্ষেপগুলো দেশটির অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
এর আগে গত শুক্রবার যুক্তরাজ্যের অর্থমন্ত্রী কোয়াসি কোয়ার্টেং ট্যাক্স কাটছাঁটের জন্য ৪৫ বিলিয়ন পাউন্ডের একটি প্যাকেজ ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি বলেন, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি শুরু করার জন্য একটি বড় পরিবর্তন প্রয়োজন। তবে বিরোধী দল লেবার পরিকল্পনাটির সমালোচনা করে বলেছে, এটি জীবনযাত্রার ব্যয়-সংকটের সমাধান করবে না বরং এটি ধনীদের আরও ধনী করার পরিকল্পনা।
এদিকে নতুন কর নীতি পুনর্মূল্যায়নের জন্য দেশটির অর্থমন্ত্রী কোয়াসি কোয়ার্টেংয়ের ওপর চাপ তৈরি হচ্ছে। এটি বাজারে অশান্তি সৃষ্টি করতে পারে বলে শীর্ষস্থানীয় অর্থনীতিবিদ, বিনিয়োগকারী ও নির্বাহী প্রধানরা পরিকল্পনাটি বাতিল করার কথা বলছেন।
ব্রিটিশ অর্থমন্ত্রী তার বাজেট পরিকল্পনায় দীর্ঘমেয়াদী অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার দ্বিগুণ করার সঙ্গে সঙ্গে গৃহস্থালি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে জ্বালানি বিল দিয়ে সহায়তা করার কথা বলেছেন। শুধু এই অর্থবছরে সরকারি ঋণ ইস্যুতে অতিরিক্ত ৭২ বিলিয়ন পাউন্ড (৭৭ দশমিক ১৭ বিলিয়ন) প্রয়োজন। এটি বিনিয়োগকারীদের হতবাক করেছে।
আইএমএফ বলছে, এমন প্রস্তাব বৈষম্য বৃদ্ধি করবে এবং এটি জাতীয় নীতির প্রজ্ঞাকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (২৭ সেপ্টেম্বর) আইএমএফের একজন মুখপাত্র বলেন, ‘যুক্তরাজ্যসহ অনেক দেশে উচ্চ মূল্যস্ফীতির চাপের কারণে, আমরা এই সন্ধিক্ষণে বড় এবং লক্ষ্যহীন আর্থিক প্যাকেজগুলোর সুপারিশ করি না। এটি আইএমফের পলিসির সঙ্গে সামঞ্জস্য নয়’।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা যুক্তরাজ্যের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করছি এবং কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সম্পৃক্ত রয়েছি’।
জানা গেছে, ২৩ নভেম্বর কোয়ার্টেংয়ের বাজেট প্রস্তাব ‘যুক্তরাজ্য সরকারকে সহায়তা প্রদানের উপায়গুলো বিবেচনা করার প্রাথমিক সুযোগ প্রদান করবে যা আরও লক্ষ্যবস্তু এবং কর ব্যবস্থার পুনর্মূল্যায়ন করবে। বিশেষ করে যেগুলো উচ্চ-আয়ের উপার্জনকারীদের জন্য আরও সুযোগ সৃষ্টি করবে। সূত্র : বিবিসি
বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর