গণভোটের মাধ্যমে ইউক্রেনের চারটি অঞ্চল রাশিয়ার অন্তর্ভুক্ত হয়েছে বলে আগেই জানিয়েছিলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ওই চার অঞ্চলের মধ্যে ঝাপোরিঝঝিয়া একটি। এবার সেখানকার পরমাণু কেন্দ্রটি দখলের ডিক্রি জারি করলেন রুশ প্রেসিডেন্ট।
ঝাপোরিঝঝিয়া ছাড়াও ইউক্রেনের খেরসন, ডোনেটস্ক এবং লুহানস্কে গণভোটের আয়োজন করেছিল রাশিয়া। গত ২৩ সেপ্টেম্বর থেকে ২৭ সেপ্টেম্বর এই গণভোট অনুষ্ঠিত হয়। পরে ডিক্রি জারি করে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন জানিয়েছিলেন, ওই চারটি এলাকাই এখন রাশিয়ার অন্তর্ভুক্ত। যদিও ইউক্রেন-সহ পশ্চিমা দেশগুলো তা মানতে রাজি হয়নি। এবার ওই ঝাপোরিঝঝিয়ার পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রটি নিজেদের দখলে নেওয়ার ডিক্রি জারি করলেন পুতিন।
ঝাপোরিঝঝিয়া ইউরোপের সবচেয়ে বড় পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র। বস্তুত, বেশ কিছুদিন আগেই ওই বিদ্যুৎকেন্দ্রের দখল নিয়েছিল রুশ সেনারা। অভিযোগ, ওই পরমাণু কেন্দ্রের ভিতর থেকে তারা আক্রমণ চালাচ্ছিল। কিন্তু পরমাণু কেন্দ্রটি পরিচালনা করছিলেন ইউক্রেনের কর্মকর্তারা। এবার তাদের হাত থেকে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি নিজেদের হাতে নিয়ে নিতে চাইছে রাশিয়া। যদিও ইউক্রেন জানিয়ে দিয়েছে তা কোনওভাবেই সম্ভব নয়। রাশিয়ার দাবি, ওই বিদ্যুৎকেন্দ্রের পরিচালক এখন তাদের হাতে বন্দি।
ইউক্রেন জানিয়েছে, রাশিয়ার এই পদক্ষেপ তারা কোনওভাবেই মেনে নেবে না। কিছুদিন আগেই আন্তর্জাতিক পরমাণু সংস্থার কর্মকর্তারা ওই কেন্দ্রটি পর্যবেক্ষণ করতে সেখানে গিয়েছিলেন। তারাও জানিয়েছে, কেন্দ্রটি কোনওভাবেই রাশিয়ার হাতে যেতে পারে না। অন্যদিকে, রাশিয়ার বক্তব্য- এলাকাটি যখন তাদের হাতে চলে এসেছে, তখন পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রটিও তাদের হাতে আসা উচিত।
ঝাপোরিঝঝিয়া পরমাণু কেন্দ্র রাশিয়ার হাতে চলে গেলে তা বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। ইউক্রেনের পক্ষেও এটা বড় ক্ষতি বলে মনে করেন তারা। ইউক্রেন অবশ্য জানিয়েছে, বুধবারও রাশিয়ার দখল করা বেশ কিছু অঞ্চল তারা পুনর্দখল করেছে। সহজে রাশিয়াকে জমি তারা ছাড়বে না বলে ফের জানিয়ে দিয়েছে ইউক্রেনের প্রশাসন। সূত্র: রয়টার্স, এপি, এএফপি, দ্য ডিফেন্স পোস্ট, ডয়েচে ভেলে, আনাদোলু এজেন্সি
বিডি প্রতিদিন/কালাম
