যে কোনো হুমকি মোকাবেলায় সাগরে যৌথ শক্তি বাড়ানোর দিকে মনোযোগ দিতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র ও জাপান। পারস্পরিক সমঝোতা অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্র মিত্র দেশ জাপানের ভূখণ্ডে আরো ক্ষমতাসম্পন্ন নৌশক্তির পরিধি বাড়াবে বলে জানানো হয়েছে।
এদিকে, কয়েক সপ্তাহ আগেই যুক্তরাষ্ট্রের এশীয় মিত্র জাপান তাদের ইতিহাসে সবচেয়ে উচ্চাভিলাষী সামরিক ব্যয়ের পরিকল্পনা প্রকাশ করে। ওই সময় টোকিও দাবি করে, চীন ও উত্তর কোরিয়ার সৃষ্ট আঞ্চলিক হুমকি বৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতেই তাদের এই মহাপরিকল্পনা। এ সংক্রান্ত বিস্তারিত পরিকল্পনা প্রকাশের পর জাপান তার প্রতিরক্ষা ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের ওয়াশিংটনে পাঠায়।
দুই পক্ষের মধ্যে বৈঠকের পর জাপানে যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তায় সামরিক উপস্থিতি বাড়ানোর এই নতুন পরিকল্পনা সামনে এলো।
বুধবার প্রকাশিত বিবৃতিতে ‘ক্রমবর্ধমানভাবে মারাত্মক হওয়া নিরাপত্তা পরিবেশের পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে জোটের আধুনিকায়নের’ অঙ্গীকারের কথা বলা হয়।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন, জাপানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী হায়াসি ইয়োশিমাসা ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী হামাদা ইয়াসুকাজুর উপস্থিতিতে সংবাদ সম্মেলনে মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন বলেন, জাপানে বিদ্যমান ‘১২তম মেরিট রেজিমেন্ট’ পুনর্গঠন করে ‘১২তম মেরিন লিটোরাল রেজিমেন্টে’ রূপ দেওয়া হবে। তিনি বলেন, নতুন এই নৌ ইউনিট হবে আরো ক্ষিপ্র, আরো সক্ষম এবং আরো ভয়ংকর।
সূত্র : সিএনএন
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত