ফ্লোরিডার মায়ামী ফেডারেল কোর্টে হাজির হয়ে জামিন লাভের পর সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ‘আমি নির্দোষ। আমি রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার।’
রাষ্ট্রীয় গোপনীয় নথির অব্যবস্থাপনাসহ তিন ডজন অভিযোগের শুনানিতে মায়ামির ফেডারেল কোর্টে হাজির হয়ে তার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ট্রাম্প। ফ্লোরিডার এই আদালতে আত্মসমর্পণ করলে তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে কাঠগড়ায় তোলা হয়। ট্রাম্প আদালতে প্রবেশের পর বিচারক জনাথন গুডম্যান সাবেক প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে আনা ৩৭টি অভিযোগ পড়ে শোনান।
অভিযোগ শোনার পর ট্রাম্প নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন। রিপাবলিকান পার্টির প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হবার দৌড়ে অবতীর্ণ ট্রাম্প এই মামলায় আদালতে হাজির হতে আগেভাগেই ফ্লোরিডা গিয়েছিলেন। সোমবার রাতটি ট্রাম্প মায়ামির কাছে তার রিসোর্ট ট্রাম্প ন্যাশনাল ডোরালে কাটিয়েছেন। এর আগে নিউজার্সির বেডমিনস্টারে নিজের গলফ ক্লাবে ছিলেন তিনি, সেখান থেকেই বিমানযোগে মায়ামিতে উড়ে যান। আদালত প্রাঙ্গন এবং আশপাশে বিপুলসংখ্যক ট্রাম্প-সমর্থক ছিলেন। তারা নানা স্লোগানে ট্রাম্পকে সাহস জুগিয়েছেন।
আগে থেকে এ উপলক্ষে আদালতের ভেতরে ও বাইরে কঠোর নিরাপত্তার ব্যবস্থা অবলম্বন করা হয়েছিল।
রাষ্ট্রীয় গোপনীয় নথি অবৈধভাবে নিজের কাছে রাখা এবং সেগুলো গোসলখানায় রেখে দেওয়ার মতো অব্যবস্থাপনাসহ নানা অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে। প্রেসিডেন্ট পদের মেয়াদ শেষে হোয়াইট হাউজ ছাড়ার পর ট্রাম্প বিধিবহির্ভূতভাবে নিজের কাছে যেসব নথি রেখে দিয়েছিলেন সেগুলোর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের পারমাণবিক প্রকল্পের অত্যন্ত গোপনীয় কিছু নথিও ছিল।
উল্লেখ্য, চলতি বছর এই নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো তিনি ফৌজদারি মামলায় অভিযুক্ত হয়েছেন। প্রথম মামলাটি নিউইয়র্ক সুপ্রিম কোর্টে হয়েছে ধর্ষণ মামলাটির বাদিনীর মুখ বন্ধ রাখতে ঘুষ প্রদানের অভিযোগ সাবমিট করা হয়েছে গত এপ্রিলে। এটিরও জামিন নিয়েছেন এবং বিচার শুরু হবার কথা আসছে মার্চে।
যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগের দায়ের করা মায়ামিতে এই ফৌজদারি মামলাটি আগামী বছর প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রার্থী হওয়ার দৌড়ে নামা ট্রাম্পের জন্য আরেকটি আইনি ধাক্কা। জামিন গ্রহণের পর কোন শর্ত আরোপ করা হয়নি। পাসপোর্টও আটক করা হয়নি কিংবা নির্দিষ্ট কোন এলাকার বাইরে চলাচল না করারও নির্দেশ দেননি আদালত।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল