দক্ষিণ কোরিয়ার উপ-প্রতিরক্ষামন্ত্রী শিন বিউম-চাউল বলেছেন, মার্কিন সেনা স্বেচ্ছায় উত্তর কোরিয়ার ভূখণ্ডে ঢুকেছেন। এ জন্য তিনি কারো অনুমতি নেননি। তিনি এক বিবৃতিতে আরও বলেছেন, উত্তর কোরিয়ায় প্রবেশকারী মার্কিন সেনাকে কেউ সেদেশে যেতে বাধ্য করেনি।
এছাড়া, দক্ষিণ কোরিয়ায় মোতায়েন মার্কিন বাহিনীর মুখপাত্র আইজ্যাক টেইলর বলেন, ওই সেনার নাম ট্রাভিস কিং। তিনি ২০২১ সাল থেকে মার্কিন বাহিনীতে কাজ করছেন। তিনি স্বেচ্ছায় এবং কোনো ধরনের অনুমতি ছাড়াই সীমান্ত অতিক্রম করেছেন।
জাতিসংঘ কমান্ড বলেছে, ধারণা করা হচ্ছে ঐ মার্কিন এখন উত্তর কোরিয়ার হেফাজতে রয়েছেন। উদ্ভূত ঘটনার সমাধানে পিয়ংইয়ংয়ের সামরিক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা চলছে।
১৯৫৩ সালে দক্ষিণ ও উত্তর কোরিয়ার মধ্যে যুদ্ধ শেষ হয়ে গেলেও কৌশলগতভাবে এখনো দুই দেশ যুদ্ধের মধ্যে রয়েছে। দুই দেশের সীমান্তে বেসামরিকীকরণ করা হলেও এখনো প্রায়ই তাদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়।
দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক সূত্র জানায়, ঘটনার কয়েক ঘণ্টা পর সাগরে উত্তর কোরিয়া স্বল্প পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে। গতকাল মঙ্গলবার দক্ষিণ কোরিয়ায় মার্কিন পরমাণু অস্ত্রসজ্জিত সাবমেরিন মোতায়েনের প্রতিক্রিয়ায় এই ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সূত্র : পার্সটুডে।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক