বাসমতি ছাড়া অন্যান্য সব চাল রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ভারত। এতে বিশ্ব খাদ্য বাজারে আরও মূল্যস্ফীতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারী বর্ষণে ফসলের উল্লেখযোগ্য ক্ষতি হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে অভ্যন্তরীণ বাজার স্থিতিশীল রাখতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার দেশটির কেন্দ্রীয় সরকার থেকে দেওয়া এক নোটিশে নিশ্চিত করা হয়েছে এ তথ্য।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ভারতের অভ্যন্তরীণ বাজারে চালের সরবরাহ স্থিতিশীল রাখতে চাল রফতানি নীতিতে পরিবর্তন এনেছে সরকার। পরিবর্তিত নীতি অনুযায়ী, এখন থেকে বাসমতি চাল ছাড়া অন্য কোনো সাদা চাল আর রফতানি করা যাবে না। পরবর্তী সিদ্ধান্ত আসার আগ পর্যন্ত এই আদেশ বহাল থাকবে।
চলতি বছরের বর্ষায় ভারতের রাজ্যগুলোতে বৃষ্টিপাতের ভারসাম্যে ব্যাপক অবনতি হয়েছে। জুনের শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটির উত্তরাঞ্চলীয় ও কেন্দ্রীয় রাজ্যগুলোতে অতিমাত্রায় বর্ষণ হলেও পূর্ব, উত্তরপূর্ব ও দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতে বৃষ্টিপাত হয়েছে প্রয়োজনের তুলনায় বেশ কম। ফলে বিগত অন্যান্য বছরের তুলনায় চলতি বছর ভারতে উৎপাদিত চালের পরিমাণ উল্লেখযোগ্য পরিমাণে হ্রাস পাবে বলে সতর্কবার্তা দিয়েছিলেন ভারতের কৃষি বিজ্ঞানীরা।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের তথ্য অনুযায়ী, আন্তর্জাতিক বাজারে গত বছরের তুলনায় চলতি ২০২৩ সালে চালের দাম বেড়েছে ১১ দশমিক ৭ শতাংশ, যা গত ১১ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ মূল্যবৃদ্ধির রেকর্ড। বিশ্বের ৩০০ কোটিরও বেশি মানুষের প্রধান খাদ্য ভাত। আর বিশ্ববাজারে প্রতিদিন যত চাল কেনা-বেচা হয় তার ৪০ শতাংশই আসে ভারত থেকে।
বিডি প্রতিদিন/এমআই