অভিবাসন প্রত্যাশীদের ঢল ঠেকাতে নতুন আইন করল ব্রিটেন। কয়েক বছরের চেষ্টার পর অবশেষে এ সংক্রান্ত আইন পাস হল দেশটিতে।
গত বছর সরকার পরিচালনার দায়িত্ব পেয়েই দেশটির প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক ঘোষণা দিয়েছিলেন- অবৈধ অভিবাসন ঠেকাতে কঠোর আইন করা হবে।
সেই ঘোষণা অনুযায়ী গত সোমবার দেশটির সংসদে এ সংক্রান্ত আইন পাস হয়। এরপর তা অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয় রাজপ্রাসাদে। সেখানেও অনুমোদন পাওয়ার পর এখন তা আইনে পরিণত হয়েছে।যুক্তরাজ্যের নতুন এ আইনটি অভিবাসন প্রত্যাশীদের জন্য দুঃসংবাদ হিসেবেই ধরা হচ্ছে। কারণ এখন দেশটিতে কেউ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ছোট নৌকা বা অন্য কোনও অবৈধ উপায়ে প্রবেশ করলে— কোনওভাবেই আশ্রয় পাবেন না। অবৈধভাবে প্রবেশ করার পর যদি কেউ ধরা পড়েন তাহলে সঙ্গে সঙ্গে তাকে তৃতীয় কোনও দেশে পাঠানো হবে। এছাড়া কেউ যদি একবার অবৈধ উপায়ে এসে ধরা পড়েন তাহলে তিনি আর কখনওই ব্রিটেনে প্রবেশ করতে পারবেন না।
আইনের মাধ্যমে অবৈধদের ধরা ও ফেরত পাঠানোর বিষয়টি সরকারের অত্যাবশ্যকীয় দায়িত্ব হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছে। ফলে ‘বিশেষ কোনও কারণ’ না থাকলে অবৈধ অনুপ্রবেশকারীকে বের করে দিতে সরকারি সংস্থাগুলো বাধ্য থাকবে।
এই আইনের মূল উদ্দেশ্য হল— সাগর পথের ছোট নৌকাগুলোর ঝুঁকিপূর্ণ যাত্রা বন্ধ করা।
তবে আইনটির বিরোধিতা করেছে মানবাধিকার সংস্থাগুলো। তারা বলছে, এটি ব্রিটেনের আন্তর্জাতিক আইন মেনে চলার অঙ্গীকারের পরিপন্থি। সূত্র: ইউকে ওয়েবসাইট, বিবিসি
বিডি প্রতিদিন/কালাম