ইউরোপ ক্রমবর্ধমান উত্তাপে জর্জরিত হওয়ায় জার্মানিতে মধ্যাহ্ন ছুটি ঘোষণা নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে। কর্মকর্তারা বলছেন, জার্মানদের দক্ষিণ ইউরোপীয়দের পদাঙ্ক অনুসরণ করা উচিত যাদের অত্যন্ত গরম আবহাওয়ার অভিজ্ঞতা রয়েছে।
ইউরোপীয় তাপপ্রবাহ বাড়ায় এবং গুরুতর স্বাস্থ্য সতর্কতা নিয়ে আসায় জার্মানি গ্রীষ্মকালীন ছুটির প্রয়োজনীয়তা নিয়ে বিতর্ক করছে। দক্ষিণ ইউরোপ জুড়ে তীব্রভাবে উচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। মৃত্যু এবং হার্ট অ্যাটাকের আশঙ্কা বাড়ছে। যদিও মহাদেশের বেশিরভাগ অংশকে প্রভাবিত করে এমন অসহনীয় তাপমাত্রা জার্মানি দেখেনি। এখনও মধ্য ৩০ এর ঘরে তাপমাত্রা অনুভব করেছে। জার্মানির দক্ষিণাঞ্চলের বাভারিয়ায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৮.৮ সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।
পাবলিক হেলথ অফিসার অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান জোহানেস নিসেন বলেছেন, জার্মানদের উচিত দক্ষিণ ইউরোপীয়দের অনুশীলন অনুসরণ করা। সকালে ঘুম থেকে উঠুন, উৎপাদনশীল কাজ করুন, মধ্যাহ্নে একটি বিরতি নিন। তিনি আরএনডি নেটওয়ার্কে প্রকাশিত একটি সাক্ষাৎকারে এই মন্তব্য করেন ৷
গত বুধবার ইতালির ২৩টি শহরে রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়। কারণ, দেশটির বেশিরভাগ অংশ জুড়ে তাপমাত্রা খুব বেশি ছিল। ভূমধ্যসাগরীয় দ্বীপ সার্ডিনিয়া এবং সিসিলির কিছু অভ্যন্তরীণ অঞ্চলে ৪৫-৪৬ সেলসিয়াস ডিগ্রি তাপমাত্রা প্রত্যাশা করা হয়।
গ্রিসের রাজধানী এথেন্সের পশ্চিমাঞ্চল দাবানলে পুড়ছে। স্পেনের তাপপ্রবাহ কমছে বলে মনে হচ্ছে। কিন্তু উপকূলীয় পানি রেকর্ড-উচ্চ তাপমাত্রায় বিরাজ করেছে।
মঙ্গলবার জার্মান স্বাস্থ্যমন্ত্রী কার্ল লাউটারবাখ বলেছেন, একটি বিরতি অবশ্যই কোনো খারাপ প্রস্তাব নয়। তবে সতর্ক করে দিয়েছেন, নিয়োগকর্তা এবং কর্মীদের একসাথে দিনের ঘুমের সময় নিয়ে আলোচনা করা উচিত।
বুধবার একজন সরকারি মুখপাত্র বলেছেন, গ্রীষ্মের তাপমাত্রায় ব্যাপক পরিবর্তনের পটভূমিতে এই উদ্যোগগুলোকে খুব গুরুত্ব সহকারে নেওয়া উচিত। তিনি বলেন, আউটডোরসহ কিছু কর্মক্ষেত্র চরম আবহাওয়ার কারণে গুরুতর চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছে। আমি এটিকে একটি গুরুতর বিষয় হিসাবে দেখছি যা আগামী বছরগুলোর জন্য আমাদের উদ্বিগ্ন করবে।
বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা সতর্ক করেছে, উত্তর গোলার্ধে তাপপ্রবাহ শীতল হচ্ছে না। এটি তীব্রতর হতে চলেছে, মৃত্যুর ঝুঁকি বাড়িয়েছে।
বিজ্ঞানীরা সতর্ক করেছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব তাপপ্রবাহকে আরও ঘন ঘন, মারাত্মক এবং অধিক মারাত্মক করে তুলবে। চরম তাপমাত্রা যুক্তরাষ্ট্র এবং এশিয়াকেও প্রভাবিত করেছে। সূত্র: আল জাজিরা
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল