‘সন্ত্রাসী নজরদারির তালিকা’-কে অসাংবিধানিক ঘোষণার পাশাপাশি অবিলম্বে তালিকা থেকে মুসলিম আমেরিকানদের নাম সরিয়ে ফেলার দাবিতে বস্টনে অবস্থিত ফেডারেল কোর্টে মামলা করেছে মুসলিম আমেরিকানদের ১২টি সংগঠন।
বুধবার প্রাপ্ত সংবাদে জানা গেছে, ‘দ্য ফেডারেল টেররিস্ট স্ক্রিনিং ড্যাটাবেজ’এ সন্নিবেশিত তালিকার মাধ্যমে মূলত মুসলিম আমেরিকানদের টার্গেট করা হয়েছে এবং অন্য ধর্মীয় বিশ্বাসীদের কাছে হেয়-প্রতিপন্ন করা হয়েছে-যা যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের পরিপন্থী। ‘কাউন্সিল অন আমেরিকান ইসলামিক রিলেশন্স’র (কেয়ার) স্টাফ এটর্নী অ্যামি ডাউকোর এ প্রসঙ্গে গণমাধ্যমকে বলেন, ওই তালিকার পর ২২ বছর অতিবাহিত হলো। কিন্তু তার মাধ্যমে আমেরিকার নিরাপত্তা সুসংহত হয়েছে বলে যুক্তিগ্রাহ্য কোনো তথ্য নেই।
উল্লেখ্য, বুধবার দায়েরকৃত এই মামলার আইনগত সহায়তায় রয়েছে কেয়ারের ন্যাশনাল কমিটি। মুসলিম আমেরিকানদের অধিকার ও মর্যাদা নিয়ে কর্মরত ‘কেয়ার’ কর্তৃক সাবমিটকৃত এই মামলায় ২৯টি ফেডারেল এজেন্সিকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।বলা হয়েছে, নিরাপত্তার অজুহাতে নাগরিকত্ব গ্রহণকারি আমেরিকান ছাড়াও গ্রিনকার্ডধারী ও এসাইলিরা প্রতিনিয়ত চলতি পথে হয়রানির শিকার হচ্ছেন। অথচ এসব মুসলিম আমেরিকানরা কঠোর শ্রম দিচ্ছেন, বছর শেষে ট্যাক্স প্রদান করছেন, উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ করেছেন আমেরিকার আলো-বাতাসে, যুক্তরাষ্ট্রের উন্নয়ন-সমৃদ্ধিতে মেধার বিনিয়োগ ঘটাচ্ছেন। কেউ কখনও কোনো সন্ত্রাসে লিপ্ত ছিলেন বলে আদালতে অভিযুক্ত হননি।
আরও উল্লেখ করা হয়েছে যে, ওই তালিকার মধ্যদিয়ে বিচারবহির্ভূতভাবে মুসলিম আমেরিকানদের কাঠ গড়ায় দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছে এবং গণ্য করা হচ্ছে দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিক হিসেবে।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে ইউএস ডিস্ট্রিক্ট কোর্ট অপর এক রুলিংয়ে উপরোক্ত ওয়াচলিস্টকে মুসলিম আমেরিকানদের অধিকার বঞ্চিত করার সামিল হিসেবে উল্লেখ করেছিল।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল