ইরাকের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ শিয়া আল-সুদানি বলেছেন, মার্কিন নেতৃত্বাধীন সামরিক বাহিনীর দ্রুত ও সুশৃঙ্খল প্রস্থান চায় ইরাক। কিন্তু এটা নিয়ে কোনো সময়সীমা নির্ধারণ করেনি।
ইরাকের অন্যতম আনুষ্ঠানিক নিরাপত্তা বাহিনীর অংশ ইরান-সংশ্লিষ্ট গোষ্ঠীগুলোর ওপর যুক্তরাষ্ট্রের ধারাবাহিক হামলার পর ইরানের ঘনিষ্ঠ শিয়া মুসলিম গোষ্ঠীগুলোর দীর্ঘদিনের দাবি (মার্কিন সৈন্যদের চলে যাওয়া) জোরালো হয়ে উঠেছে।
ইসরায়েল-গাজা যুদ্ধ শুরুর পর থেকে মার্কিন বাহিনীর ওপর কয়েক ডজন ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হয়। প্রতিক্রিয়ায় ইরান সংশ্লিষ্ট গোষ্ঠীর ওপর হামলা করে মার্কিন বাহিনী।
ইরাক আবারও আঞ্চলিক সংঘাতের থিয়েটারে পরিণত হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিশ্লেষকরা।
মঙ্গলবার বাগদাদে রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ইরাকের প্রধানমন্ত্রী সুদানি বলেন, এই সম্পর্ক পুনর্গঠন করা দরকার। যাতে ইরাক ও এই অঞ্চলের স্থিতিশীলতা বিঘ্নিত করা অভ্যন্তরীণ বা বিদেশি কোনো পক্ষের লক্ষ্য বা যৌক্তিকতা না হয়।
গত ৫ জানুয়ারি ইরাক জোট বন্ধের প্রক্রিয়া শুরু করার ঘোষণার পর জোটের ভবিষ্যত নিয়ে তার চিন্তা ভাবনার প্রথম বিবরণ দিয়ে সুদানি বলেন,‘'সমঝোতা ও সংলাপের প্রক্রিয়ার’ আওতায় জোট ত্যাগের বিষয়ে আলোচনা হওয়া উচিত।
গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধের অবসান হলেই আঞ্চলিক উত্তেজনার ঝুঁকি বন্ধ হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আসুন আমরা একটি সময়সীমার বিষয়ে একমত হই যা সততার সাথে, দ্রুত, যাতে দীর্ঘস্থায়ী না হয় এবং হামলা চলতে না থাকে।’
সোমবার পেন্টাগন বলেছে, মার্কিন সেনাদের প্রত্যাহারের কোনো পরিকল্পনা তাদের নেই। সরকারের আমন্ত্রণেই তারা ইরাকে রয়েছে।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল