আসন্ন মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ঘিরে হঠাৎ কমলা হ্যারিসের উত্থানে কিছুটা অপ্রস্তুত হয়ে পড়ে রিপাবলিকান শিবির। যা সামলে ওঠার চেষ্টায় রয়েছে ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রচার দল। এরই মধ্যে নতুন ছক কষে ফেলেছেন তারা। চারটি ইস্যু টার্গেট করে কমলাকে ঘায়েলের পরিকল্পনা করেছে তারা। এক প্রতিবেদনে এমন খবরই দিয়েছে বিবিসি।
প্রেসিডেন্ট বাইডেন সরে যাওয়ার পর ডেমোক্র্যাটিক পার্টি থেকে প্রার্থিতায় এখন পর্যন্ত কমলা হ্যারিসই এগিয়ে। বলা চলে আগামী নভেম্বরে তিনিই দলটির হাল ধরবেন। বাইডেন যার কাছে মাত্র এক বিতর্কে ধরাশায়ী হয়ে নির্বাচনের মাঠ ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন, সেই ট্রাম্পের বিরুদ্ধে লড়বেন তিনি। প্রেসিডেন্ট বাইডেন ও সাবেক প্রেসিডেন্ট ওবামা, ক্লিনটনসহ দলের শীর্ষ নেতারা এরই মধ্যে কমলাকে সমর্থন দিয়েছেন।
এদিকে, কমলাকে প্রার্থী ধরে নিয়েই কৌশল সাজাচ্ছে রিপাবলিকান পার্টি। অনমনীয় বাইডেনের হঠাৎ পিছুটানে সামনে চলে আসেন কমলা হ্যারিস, যা কিছুটা অপ্রস্তুত করে দেয় রিপাবলিকানদের। কমলার প্রতি বাড়তে থাকে জনসমর্থনও। তবে ট্রাম্পের প্রচারণা দল তার এই উত্থানকে ‘হানিমুন পিরিয়ড’ বা 'ক্ষণস্থায়ী সুসময়' হিসেবেই দেখছেন। ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি জানায়, কমলা হ্যারিসকে ঘায়েল করতে চারটি ইস্যুকে টার্গেট করছেন ট্রাম্প। এর মধ্যে রয়েছে কমলাকে কট্টর বামপন্থী ট্যাগ লাগানো।
সম্প্রতি এক ভিডিওতে এটি সরাসরিই বলেছেন ট্রাম্প। সামনের দিনগুলোতে নানা যুক্তি দিয়ে এটি প্রতিষ্ঠা করতে চাইবেন তিনি। উদাহরণ হিসেবে সামনে আনতে পারেন ট্রাম্পের শাসনামলে ২০১৯ সালে বিভিন্ন আন্দোলনে কমলা হ্যারিসের যোগসূত্র। সে সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তহবিল কমিয়ে অন্য খাতে ব্যয়ের দাবি জানিয়েছিলেন তিনি।
এছাড়া বাইডেনের ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করায় তার সরকারের ব্যর্থতার দায় তার ঘাড়ে চাপানো হতে পারে। অভিবাসন নীতি, মূল্যস্ফীতি ও গাজা যুদ্ধে ইসরায়েলকে সমর্থন ইস্যুতে জনপ্রিয়তা হারান বাইডেন। বাইডেনের সহকারী হিসেবে এসব ইস্যুতে তাকে নাজেহালের চেষ্টা করবে ট্রাম্প শিবির।
আইনজীবী হিসেবে কমলার হ্যারিসের ভূমিকাকেও প্রশ্নবিদ্ধ করার পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। অভিযোগ করা হবে, কৃষ্ণাঙ্গদের ওপর বেশি কঠোর ছিলেন কমলা। এছাড়া যেসব অপরাধীকে তিনি কারামুক্ত করতে পেরেছিলেন পরবর্তীতে তারা বড় অপরাধে জড়িয়ে পড়েছেন।
বিডি-প্রতিদিন/শআ