ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলের প্রাণঘাতী আগ্রাসনের বিরুদ্ধে তুরস্ক বরাবরই কঠোর প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে। সম্প্রতি তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান গাজায় ইসরায়েলি হামলাকে শতাব্দীর অন্যতম ‘শ্রেষ্ঠ বর্বরতা’ বলে আখ্যায়িত করেছেন।
তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, যেভাবে গণহত্যাকারী নাৎসিদের জবাবদিহি করা হয়েছিল, তেমনি যারা ফিলিস্তিনিদের ধ্বংস করতে চায় তাদেরও জবাবদিহি করতে হবে। প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানও বলেছেন, নেতানিয়াহুর পরিণতি হিটলারের মতোই হবে।
তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদান এক্সে দেওয়া এক পোস্টে জানান, প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান মানবতার কণ্ঠস্বর হয়ে উঠেছেন এবং যারা এই ন্যায়সঙ্গত কণ্ঠস্বরকে স্তব্ধ করতে চায়, তারা আতঙ্কিত।
ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ তুরস্কের প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে মানহানিকর ও অপমানজনক মন্তব্য করার পর তুর্কি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই কঠোর প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে।
গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের অবিরাম হামলায় এখন পর্যন্ত ৩৯ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান ইসরায়েলের চলমান আগ্রাসনের তীব্র সমালোচনা করে আসছেন এবং তিনি বলেছেন, ইসরায়েলের নেতাদের অবশ্যই আন্তর্জাতিক আদালতে বিচারের মুখোমুখি করা উচিত।
ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংকটে দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের প্রতি সমর্থন জানিয়ে তুরস্ক বলেছে, ইসরায়েলি নেতাদের অবশ্যই যুদ্ধাপরাধের জন্য জবাবদিহি করতে হবে। এরদোয়ান বলেছেন, পশ্চিমা দেশগুলোও ইসরায়েলের গাজা হামলায় সমর্থন করে যুদ্ধাপরাধ করছে।
গত বছরের ডিসেম্বরে প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর সাথে হিটলারের তুলনা করেন এবং বলেন, তাদের মাঝে কোনও পার্থক্য নেই। তিনি বলেন, ইসরায়েলি হামলায় হাজার হাজার ভবন ধ্বংস হয়েছে, যার মধ্যে হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা রয়েছে।
গত ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন হামলার পর থেকে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। এই হামলায় বহু মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন এবং ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালানো হয়েছে।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল