জনসভায় গুলি চালানোর কারণ এখন খুঁজে পায়নি তদন্তকারীরা। সে কারণেই ডোনাল্ড ট্রাম্পের বক্তব্য শুনতে চায় এফবিআই। ট্রাম্প কী দেখেছেন, শুনবে তারা।
গত ১৩ জুলাই পেনসিলভেনিয়ায় রিপাবলিকানদের সভায় বক্তৃতা করছিলেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট এবং ২০২৪ মার্কিন নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। সভা চলাকালীন বন্দুকধারী হামলা চালায়। ট্রাম্পের কান ছুঁয়ে বেরিয়ে যায় একটি গুলি। রক্তাক্ত অবস্থায় মঞ্চ ছাড়েন ট্রাম্প। আক্রমণকারীকে ঘটনাস্থলেই হত্যা করেন নিরাপত্তারক্ষীরা।
কিন্তু কেন গুলি ছুঁড়েছিল ওই ব্যক্তি, তা এখনো স্পষ্ট নয়। বস্তুত, ঘটনার পর আঙুল উঠেছে সিক্রেট সার্ভিসের কর্মীদের দিকে। কেন তারা আগে থেকে পরিস্থিতি বুঝতে পারেননি, এই প্রশ্ন উঠেছে। কিন্তু সিক্রেট সার্ভিসের প্রধান স্বয়ং জানিয়েছেন, যে ব্যক্তি গুলি চালিয়েছিল, তিনি যে গুলি চালাতে পারেন, এমনটা তারা ভাবেননি। তার প্রোফাইল দেখেও কোনো থ্রেট পারসেপশন বোঝা যায়নি।
এই পরিস্থিতিতে গোটা ঘটনার তদন্তে নেমেছে এফবিআই। আগেই তারা ট্রাম্পের সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছিল। এতদিন পর ট্রাম্প কথা বলতে রাজি হয়েছেন। সাবেক প্রেসিডেন্টের গোটা ঘটনা নিয়ে কী মনে হয়েছে, তিনি সেদিন ঠিক কী কী দেখেছিলেন, এই সমস্ত তথ্য জানতে চাইবে এফবিআই।
এফবিআই এজেন্ট কেভিন রোজেক জানিয়েছেন, যে কোনো ঘটনা ঘটলেই আক্রান্তের সঙ্গে কথা বলা হয়। এক্ষেত্রেও সে কাজই করা হবে। অন্যদিকে একটি টেলিভিশন চ্যানেলকে ট্রাম্প জানিয়েছেন, আগামী বৃহস্পতিবার এফবিআই তার সঙ্গে কথা বলবে।
এফবিআই জানিয়েছে, আক্রমণকারী অত্যন্ত বুদ্ধিমান বলেই তারা জেনেছেন। কলেজের পর সে চাকরি করতে শুরু করেছিল। খুব বেশি বন্ধু ছিল না তার। মূলত পরিবারের সদস্যদের সঙ্গেই ছিল তার ওঠা-বসা। কিন্তু এই ঘটনা সে কেন ঘটালো তা এখনো স্পষ্ট নয়। কারো সঙ্গে পরামর্শ করেও সে এ কাজ করেছে বলে মনে করা হচ্ছে না।
স্লোভাকিয়ার প্রধানমন্ত্রী রবার্তো ফিকোর উপর আক্রমণ কীভাবে হয়েছিল, তা বেশ কয়েকবার সার্চ করেছিল এই ব্যক্তি। এছাড়াও মাস শুটিং নিয়ে বেশ কিছু পড়াশোনা করেছিল সে। তার ইন্টারনেট সার্চ থেকে এই তথ্য পেয়েছে এফবিআই।
সূত্র : এফবিআই
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত