রোহিঙ্গাদের অবৈধ অনুপ্রবেশ ভারতের জন্য একটা বড় নিরাপত্তাজনিত হুমকি এবং কেন্দ্রীয় সরকার চায় তাদের নিজেদের দেশে পুশব্যাক করতে। সোমবার ত্রিপুরায় অনুষ্ঠিত ‘বিদেশ সম্পর্ক’ একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে এই মন্তব্য করেছেন ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের (এমইএ) এক শীর্ষ কর্মকর্তা।
ত্রিপুরা রাজ্য সরকারের সহযোগিতায় অনুষ্ঠিত প্রথম এই ‘বিদেশ সম্পর্ক’ অনুষ্ঠানে পাসপোর্ট পরিষেবা, প্রতিবেশী দেশের সাথে বাণিজ্য এবং বিনিয়োগের সুযোগ এবং প্রতিবন্ধকতা, দেশত্যাগ সম্পর্কিত বিস্তৃত বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় সরকারের কর্মকর্তারা।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব অঙ্কন ব্যানার্জি ত্রিপুরা উত্তর-পূর্বের বাকি অংশে রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশকে নিরাপত্তা হুমকি হিসেবে অভিহিত করেছেন।
তিনি বলেন, আমরা রোহিঙ্গাদের সংশ্লিষ্ট দেশে পুশব্যাক করতে চাই। এটা খুবই গুরুতর বিষয়। তারা ভারতের হরিয়ানা, জম্মুতে এবং হায়দরাবাদেও প্রচুর সংখ্যায় অবস্থান করছে। তারা রাষ্ট্রহীন মানুষ এবং খুবই দরিদ্র মানুষ। একইসঙ্গে তারা দেশের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে একটা বড় হুমকি।
ব্যানার্জি আরও বলেন, ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার অনুপ্রবেশ ঠেকানোর চেষ্টা করছে। এটা একটা নিরন্তর প্রচেষ্টা। আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী এবং বিএসএফ উভয়ই আছে। আমরা এটি বন্ধ করার চেষ্টা করছি, তবে এটি একটা বড় সীমান্ত। এতে কেবলমাত্র ভারত এবং বাংলাদেশের ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধ নয়। এই সমস্যা এমনকি মেক্সিকো এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেও রয়েছে। এটা সত্য যে যেখানে আয়ের বৈষম্য রয়েছে সেখানেই এই সমস্যা রয়েছে। যদিও সরকারি কর্তৃপক্ষ এই ধরনের অনুপ্রবেশ বন্ধ করার জন্য তাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা করে। আমরা কেবল এটাকে আরও শক্তিশালী করার চেষ্টা করতে পারি।
অন্যদিকে অনুপ্রবেশের সাম্প্রতিক বৃদ্ধি সম্পর্কে রাজ্য সরকার এবং বিএসএফ ইতিমধ্যেই আলোচনা করেছে বলে জানান রাজ্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব পি কে চক্রবর্তী।
চক্রবর্তী বলেন, বিদেশ সম্পর্ক’ অনুষ্ঠানের মূল উদ্দেশ্য হলো পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রোগ্রাম, স্কিম, মাইগ্রেশন, বাণিজ্য এবং বিনিয়োগের সুযোগ সম্পর্কিত বিষয়ে রাজ্য সরকারের একাত্ম হওয়া। বিভিন্ন সময়ে আমরা যে সমস্ত নির্দিষ্ট সমস্যাগুলোর মুখোমুখি হই, তা নিয়েও আলোচনা করছি।
বিডি প্রতিদিন/এমআই