ইসরায়েলের কয়েকজন রিজার্ভ সেনার বিরুদ্ধে এক ফিলিস্তিনি বন্দীকে প্রচণ্ড নির্যাতনের অভিযোগে আনুষ্ঠানিক তদন্ত শুরু হয়েছে। সোমবার ইসরায়েলের সেনা পুলিশের একটি দল অভিযুক্ত সেনাদের আটক করতে নেগেভ মরুভূমির স্ডে তেমেন সেনাঘাঁটিতে প্রবেশ করে। এই সময় বাইরে কট্টর ডানপন্থি বিক্ষোভকারীরা জড়ো হয়ে সেনাদের পক্ষে বিক্ষোভ শুরু করে।
স্ডে তেমেন সেনাঘাঁটিতে গাজা থেকে ধরে নিয়ে আসা বন্দীদের নির্যাতনের গুরুতর অভিযোগ কয়েক মাস ধরেই উঠছে। এ ঘটনাটি নিয়ে ইসরায়েল আনুষ্ঠানিক তদন্ত শুরু করেছে।
রবিবার স্ডে তেমেন সেনাঘাঁটিতে বিক্ষোভকারীদের মধ্যে দেশটির জোট সরকারের কয়েকজন ডানপন্থি এমপিও ছিলেন। তারা সেনাদের পক্ষে স্লোগান দেন এবং কেউ কেউ ঘাঁটির প্রধান ফটক ভেঙে ঢোকার চেষ্টা করেন।
প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বিক্ষোভকারীদের ‘দ্রুত শান্ত হয়ে যাওয়ার’ আহ্বান জানিয়েছেন। প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট বলেছেন, সেনাদের বিরুদ্ধে তদন্ত চলতে দিতে হবে এবং আইন কার্যকর হবে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, অন্তত ৯ জন রিজার্ভ সেনার বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনি বন্দীকে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। ধারণা করা হয়, বন্দীটি একজন হামাস যোদ্ধা। তাকে গাজা থেকে আটক করা হয়েছে।
ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ফিলিস্তিনি ওই বন্দীকে ভয়াবহ যৌন নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। তার মলদ্বার এতটাই আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে যে, তিনি ঠিকমতো হাঁটতেও পারছেন না এবং তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
অভিযুক্ত ইসরায়েলি সেনাদের আজ সামরিক আদালতে তোলার কথা রয়েছে।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল