কলকাতার নগর আদালতে তোলা হয়েছিল বাংলাদেশ থেকে কয়েক হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচারে অভিযুক্ত পিকে হালদার ওরফে প্রশান্ত কুমার হালদারসহ বাকি অভিযুক্তদের।
শনিবার কলকাতার নগর দায়রা আদালতের বিশেষ ইডি কোর্ট-১ বিচারক প্রসন্ন মুখোপাধ্যায়ের এজলাসে এই মামলাটি ওঠে। সেখানেই আদালত আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর পরবর্তী হাজিরার দিন ধার্য করেন।
তবে এদিন এই মামলার আরেক অভিযুক্ত আমানা সুলতানের জামিনের ব্যাপারে নগর দায়রা আদালতে যে আবেদন করা হয়েছিল, তা প্রত্যাহার করে নেন তাদের আইনজীবী বিশ্বজিৎ মান্না। যদিও তার কোন কারণ দর্শানো হয়নি। অন্যদিকে পিকে হালদারের ভাই প্রাণেশ কুমার হালদারের জামিনের আবেদন করা হয়েছে কলকাতার হাইকোর্টে। আগামী ৯ সেপ্টেম্বর সেখানে এই জামিনের আবেদন শুনানি হবে।
পরে আদালতে থেকে বেরোনোর সময় এই মামলা সম্পর্কিত কিছু প্রশ্ন করা হলে তিনি উত্তর দেন 'এখনো বলার সময় আসেনি।'
ইডির আইনজীবী অরিজিৎ চক্রবর্তী জানান 'আগামী ২৫শে সেপ্টেম্বর মামলার পরবর্তী শুনানি।' গুরুত্বপূর্ণ এই মামলায় বাংলাদেশের এস. আলম গ্রুপের সম্পৃক্ত থাকার যে বিষয়টি সামনে এসেছে তা নিয়ে ইডির আইনজীবী বলেন 'এসবই বিচারাধীন বিষয়। আদালতের কাছে রয়েছে। মামলা যখন শুনানি হবে, তখন মহামান্য আদালত বিচার করে দেখবেন। মামলার পরবর্তী দিনগুলিতে সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হবে। আমরা এই মামলার ট্রায়াল প্রক্রিয়ায় ঢুকে গেছি। তাই দেখা যাক ট্রায়ালে কি হয়!'
উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ১৪ মে পশ্চিমবঙ্গের রাজারহাটের বৈদিক ভিলেজ, বোর্ড হাউস ১৫, গ্রিনটেক সিটি থেকে পিকে হালদারকে গ্রেফতার করে ভারতের তদন্তকারী সংস্থা 'এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট' (ইডি)। এছাড়াও রাজ্যটির বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালিয়ে পিকে হালদারের আরও ৫ সহযোগী, তার ভাই প্রাণেশ হালদার, স্বপন মিস্ত্রি ওরফে স্বপন মৈত্র, উত্তম মিস্ত্রি ওরফে উত্তম মৈত্র, ইমাম হোসেন ওরফে ইমন হালদার এবং আমানা সুলতানা ওরফে শর্মী হালদারকে গ্রেফতার করা হয়।
ইতোমধ্যেই কলকাতার নগর দায়রা আদালতে (ব্যাংকশাল) পিকে হালদারসহ ছয় অভিযুক্তের বিরুদ্ধে থাকা অর্থ পাচার পাচার সংক্রান্ত আইন-২০০২' (PMLA) মামলার শুনানি চলছে।
আদালতের নির্দেশে পাঁচ পুরুষ অভিযুক্ত রয়েছেন কলকাতার প্রেসিডেন্সি কারাগারে, অন্যদিকে একমাত্র নারী অভিযুক্ত রয়েছেন আলিপুর আদালতের নারী সেলে।
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল