ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রন দেশটির নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে প্রবীণ রাজনীতিক মিশেল বার্নিয়ের নাম ঘোষণা করেছেন। ৭৩ বছর বয়সী বার্নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ব্রেক্সিট আলোচনার প্রধান মধ্যস্থতাকারী হিসেবে পরিচিত। তিনি দীর্ঘদিন ফ্রান্সের রিপাবলিকান পার্টিতে রাজনীতি করে এসেছেন এবং ফ্রান্স ও ইইউয়ের বিভিন্ন জ্যেষ্ঠ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন।
বার্নিয়ের নিয়োগ এমন একটি সময়ে এলো, যখন ফ্রান্স রাজনৈতিক অচলাবস্থার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। গত জুন ও জুলাইয়ে অনুষ্ঠিত আগাম জাতীয় নির্বাচনে কোনো দলই একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ায় পার্লামেন্ট বিভক্ত হয়ে পড়েছে। এখন এই বিভক্তি মোকাবিলা করে একটি স্থিতিশীল সরকার গঠন বার্নিয়ের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বার্নিয়ে ফ্রান্সের ইতিহাসে সবচেয়ে প্রবীণ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নিচ্ছেন, যা ১৯৫৮ সালে ফ্রান্সের নতুন প্রজাতন্ত্র ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার পর নজিরবিহীন। তিন বছর আগে প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রনের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে তিনি নিজেকে প্রস্তুত করেছিলেন, তবে শেষ পর্যন্ত নিজের দলেরই সমর্থন পাননি।
বার্নিয়ের এই নিয়োগকে ঘিরে বামপন্থী রাজনৈতিক জোট নিউ পপুলার ফ্রন্ট (এনএফপি) অসন্তোষ প্রকাশ করেছে। এনএফপি দাবি করেছে, আগাম নির্বাচনে সবচেয়ে ভালো ফল করার পরও ডানপন্থী একজনকে প্রধানমন্ত্রী করা হচ্ছে, যা তাদের মতে একটি ডানপন্থী সরকার গঠনের ইঙ্গিত বহন করে।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল