গাজার প্রতিরোধ সংগঠন হামাস দাবি করেছে, খান ইউনিসের মাওয়াসি অঞ্চলে ইসরায়েলি হামলার সময় তাদের কোনো যোদ্ধা উপস্থিত ছিল না। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী এ এলাকায় হামাসের একটি কমান্ড সেন্টার ধ্বংস করার দাবি করলেও, হামাস এ অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছে। তারা একটি বিবৃতিতে জানায়, ‘এই ধরনের অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং ভিত্তিহীন।’
মঙ্গলবার সকালেই গাজার সিভিল ডিফেন্স সংস্থা জানায়, খান ইউনিসের মাওয়াসি মানবিক এলাকায় ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ৪০ জন নিহত এবং ৬০ জন আহত হয়েছেন। ইসরায়েলি বাহিনীর মতে, হামলার লক্ষ্য ছিল হামাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ কমান্ড সেন্টার, যা সেখান থেকে পরিচালিত হচ্ছিল। তবে হামাসের পক্ষ থেকে এ দাবি প্রত্যাখ্যান করে বলা হয়েছে, সেখানে কোনো ধরনের সামরিক উপস্থিতি ছিল না।
মাওয়াসি এলাকায় এই হামলা বাস্তুচ্যুতদের তাঁবুগুলিকে সরাসরি আঘাত করেছে, যেখানে ১৫ জন মানুষ এখনও নিখোঁজ রয়েছেন। গাজার সিভিল ডিফেন্স কর্মকর্তা মোহাম্মদ আল মুগাইর জানিয়েছেন, নিখোঁজদের উদ্ধারের জন্য তাদের দল নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। মাওয়াসি এলাকায় একটি বিশাল গর্ত সৃষ্টি হয়েছে এবং এতে পুরো পরিবার মাটির নিচে চাপা পড়েছে।
সিভিল ডিফেন্সের মুখপাত্র মাহমুদ বাসাল ঘটনার ভয়াবহতা তুলে ধরে বলেছেন, ‘এই হত্যাকাণ্ডে পরিবারগুলো যেন একেবারে বালুর নিচে হারিয়ে গেছে। পুরো এলাকা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। ’
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী তাদের অভিযানের কারণ হিসেবে জানিয়েছে, হামাস বারবার মানবিক অঞ্চলগুলোকে অপব্যবহার করে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ পরিচালনা করছে। এটা ইসরায়েলের জন্য হুমকি তৈরি করছে। তারা দাবি করেছে, এই ধরনের স্থাপনাগুলোর মাধ্যমে হামাস ইসরায়েলি সেনাদের ওপর আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে।
এদিকে হামাসের তরফ থেকে বারবার ইসরায়েলি হামলার নিন্দা জানানো হয়েছে এবং গাজার বেসামরিক জনগণের ওপর এই ধরনের সহিংস আক্রমণ বন্ধ করার আহ্বান জানানো হয়েছে।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল