ইরান থেকে স্বল্পপাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পেয়েছে রাশিয়া। এই অস্ত্র ইউক্রেনের যুদ্ধে অল্প সময়ের মধ্যে ব্যবহার হবে বলে জানিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন।
মঙ্গলবার লন্ডনে ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামির সঙ্গে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে ব্লিংকেন এই তথ্য নিশ্চিত করেন। আলজাজিরা ও রয়টার্সের প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, ইরানের এই অস্ত্র সরবরাহ রাশিয়াকে স্বল্প দূরত্বের লক্ষ্যবস্তুতে কার্যকর হামলার সুযোগ দেবে এবং এতে পশ্চিমা বিশ্বে উদ্বেগের পারদ আরও বেড়েছে।
গত মার্চে জি-৭ নেতারা ইরান থেকে রাশিয়ায় ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহের বিরুদ্ধে কঠোর নিষেধাজ্ঞার হুঁশিয়ারি দিলেও, এই সামরিক সহযোগিতা এখনও চলমান। ইরানের কাছ থেকে এই ক্ষেপণাস্ত্র পাওয়ার বিনিময়ে রাশিয়া পারমাণবিক প্রযুক্তি ও মহাকাশ প্রযুক্তি ইরানের সঙ্গে ভাগাভাগি করছে বলে জানা গেছে। যুক্তরাষ্ট্র মঙ্গলবার ইরানের বিরুদ্ধে নতুন নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দিতে যাচ্ছে, যার মধ্যে ইরান এয়ারসহ আরও কিছু প্রতিষ্ঠান রয়েছে।
ইরান-রাশিয়া সম্পর্কের সামরিক জোট আরও গভীর হওয়ার প্রমাণ আগেই দেখা গেছে। এর আগে ইরান থেকে রাশিয়ায় শত শত ড্রোন সরবরাহ করা হয়েছিল। পশ্চিমা কূটনীতিকরা জানান, এই ড্রোনগুলো ইউক্রেনের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা দুর্বল করতে এবং বেসামরিক স্থাপনা ও গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোতে আঘাত হানতে ব্যবহার করছে রাশিয়া।
অন্যদিকে, ইউক্রেনের ড্রোন হামলা চালিয়ে মস্কোর আকাশে উত্তেজনা বাড়িয়েছে। রাশিয়া জানিয়েছে, সোমবার রাত থেকে মঙ্গলবার ভোর পর্যন্ত মস্কোর আশপাশে ১৫টি ড্রোন ভূপাতিত করা হয়েছে। এই হামলার ফলে মস্কোতে ৩০টিরও বেশি ফ্লাইট স্থগিত করতে হয়েছে।
রাশিয়ার আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ইউক্রেনের পাঠানো ৭৫টিরও বেশি ড্রোন ভূপাতিত করেছে। ব্রায়ানস্ক এবং লিপেটস্ক অঞ্চলের আঞ্চলিক গভর্নররা জানান, ৬০টিরও বেশি ড্রোন ভূপাতিত করা হয়েছে, তবে এসব এলাকায় কোনও বড় ক্ষয়ক্ষতি বা প্রাণহানি ঘটেনি।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল