সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, তিনি ইউক্রেনের জয় চান না; বরং চান এই যুদ্ধ দ্রুত শেষ হোক। ট্রাম্প আরও উল্লেখ করেন, তিনি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে খুব ভালো করে চেনেন এবং এই যুদ্ধের সমাপ্তি তার অগ্রাধিকার।
ফিলাডেলফিয়ায় ন্যাশনাল কনস্টিটিউশন সেন্টারে প্রথমবারের মতো নির্বাচনী বিতর্কে মুখোমুখি হন ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমলা হ্যারিস ও রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। ৯০ মিনিটের এই বিতর্কটি পরিচালনা করেন মার্কিন সংবাদমাধ্যম এবিসি নিউজ-এর ডেভিড মুইর ও লিনসে ডেভিস। বিতর্কে ট্রাম্প বিশেষভাবে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যয় নিয়ে কথা বলেন এবং দাবি করেন যে ইউরোপ যুদ্ধক্ষেত্রে অর্থায়নে যুক্তরাষ্ট্রের তুলনায় অনেক কম ভূমিকা রাখছে।
বিতর্কে যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান রাজনৈতিক অবস্থা ও ভবিষ্যত পরিকল্পনা নিয়ে দুই প্রার্থীর অবস্থান পরিষ্কার হয়ে উঠে। ট্রাম্প তার বক্তব্যে সরাসরি বলেন, ‘যদি আমি প্রেসিডেন্ট হতাম, এই যুদ্ধ শুরুই হতো না।’ তিনি যুদ্ধের অবসান চাইছেন বলে বারবার জোর দিয়ে বলেন।
এদিকে, আসন্ন নির্বাচনের জন্য ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী হিসেবে কমলা হ্যারিস আনুষ্ঠানিকভাবে মনোনয়ন গ্রহণ করেন। উল্লেখ্য, ৮১ বছর বয়সী বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন তার প্রার্থিতা থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন, যা যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিতে ব্যাপক চমক সৃষ্টি করেছে। গত জুনে রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে এক বিতর্কে অংশ নিয়ে বাইডেনের নেতৃত্ব নিয়ে সমালোচনা হয়। তার শারীরিক ও মানসিক সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে, যার ফলে তিনি গত জুলাইয়ে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেন এবং কমলা হ্যারিসের প্রতি তার সমর্থন জানান।
গত জুলাই মাসে রিপাবলিকান পার্টির সম্মেলনে ট্রাম্প আনুষ্ঠানিকভাবে দলের প্রার্থী হিসেবে মনোনীত হন। আর কমলা হ্যারিস ডেমোক্রেটিক পার্টির সম্মেলনে তার দলীয় মনোনয়ন গ্রহণ করেন। নভেম্বরের নির্বাচনে দুই প্রার্থীর এই প্রতিযোগিতা যুক্তরাষ্ট্রের ভবিষ্যৎ নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল