ইসরায়েলি হামলায় হিজবুল্লাহর গুরুত্বপূর্ণ নেতা হাসান নাসরুল্লাহ নিহত হওয়ার পর থেকে মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনার পারদ চরমে উঠেছে। এই ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় তেহরান ইসরায়েলের ওপর ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। যদিও ইসরায়েল দাবি করেছে, ইরানের হামলায় ক্ষয়ক্ষতি ছিল সীমিত।
খবরে বলা হয়েছে, ইরানের এই প্রতিশোধমূলক হামলার মধ্য দিয়ে আঞ্চলিক সংঘাতের নতুন এক অধ্যায় শুরু হলো। ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি ক্ষেপণাস্ত্র হামলাকে বৈধ ও ন্যায্য আখ্যা দিয়ে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
তবে, হিজবুল্লাহর নেতার মৃত্যুর কথা স্বীকার করে তিনি এটিকে ইরানের জন্য বড় এক আঘাত হিসেবে উল্লেখ করেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ঘটনার পর ইরানের পরমাণু অস্ত্র তৈরি করার আকাঙ্ক্ষা আরও জোরালো হতে পারে। কারণ আঞ্চলিক শক্তির ভারসাম্য এখন ইরানের বিপক্ষে যাচ্ছে।
মার্কিন বিশ্লেষকদের মতে, হিজবুল্লাহর মতো গুরুত্বপূর্ণ মিত্রের পতন এবং ইসরায়েলের প্রতি ইরানের সামরিক পদক্ষেপে ব্যর্থতা তেহরানকে বড় ধরনের সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য করছে। বিশেষ করে, ইসরায়েলের সাম্প্রতিক সামরিক অগ্রগতি এবং ইরানপন্থী গোষ্ঠীগুলোর দুর্বলতা ইরানকে পারমাণবিক অস্ত্রের দিকে আরও এগিয়ে দিচ্ছে। এদিকে, ইসরায়েলও তার প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা শক্তিশালী করতে তৎপর হয়েছে।
ইরান এবং ইসরায়েলের মধ্যে এই উত্তেজনা শুধু মধ্যপ্রাচ্যে নয়, বিশ্ব রাজনীতিতেও প্রভাব ফেলছে। ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে উদ্বেগ বেড়েছে, কারণ দেশটি আরও আগ্রাসী হয়ে উঠতে পারে। বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন, ইরানের এই প্রতিক্রিয়া এবং পারমাণবিক প্রতিরোধ তৈরির পরিকল্পনা আন্তর্জাতিক নিরাপত্তার জন্য একটি বড় হুমকি হিসেবে দেখা দিতে পারে।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল