ইয়েমেনের বিদ্যুৎ কেন্দ্র, তেল স্থাপনা ও বন্দর লক্ষ্য বড় ধরনের বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এ হামলায় কমপক্ষে নয়জন নিহত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকালে এই হামলা চালায় ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী।
ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী দাবি করেছে, ইয়েমেনের বিদ্যুৎ কেন্দ্র, তেল স্থাপনা ও বন্দরকে লক্ষ্য করে এই হামলা চালানো হয়েছে ।
সামরিক বাহিনী বলেছে, তারা হুথি বিদ্রোহী গোষ্ঠীর সামরিক অবস্থানে এই হামলা চালিয়েছে। ইরান-সমর্থিত ইয়েমেনের এই সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠীটি ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন ও গণহত্যার প্রতিবাদে সম্প্রতি ইহুদি ওই দেশটিতে হামলা চালিয়েছিল ।
ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে ইয়েমেন থেকে একটি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করার পরপরই এ ঘোষণা আসে।
হুথি-সমর্থিত আল মাসিরা টিভি চ্যানেল বলেছে, বৃহস্পতিবার ইয়েমেনের রাজধানী সানায় এবং বন্দর নগরী হোদেইদাহতে আক্রমণাত্মক হামলা চালানো হয়েছে। এর মধ্যে সানায় দু’টি কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎ কেন্দ্রকে লক্ষ্য করে এই হামলা চালানো হয়েছে। আর হোদেইদাহতে শত্রুরা বন্দরকে লক্ষ্য করে চারটি হামলা চালায় এবং একটি তেল স্থাপনাকে লক্ষ্য করে অন্য দু’টি হামলার ঘটনা ঘটেছে।
ইসরায়েলের দাবি, হামলা করা লক্ষ্যবস্তুগুলোকে হুথি বাহিনী তাদের সামরিক অভিযানের জন্য ব্যবহার করে আসছিল।
ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী এই সপ্তাহে দ্বিতীয়বারের মতো ইয়েমেনে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে।
হুথি বিদ্রোহীরা বলেছে, তারা ফিলিস্তিনিদের সাথে সংহতি প্রকাশ করেছে এবং গাজার আগ্রাসন বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত এবং অবরোধ প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
হুথিরা নিয়মিতভাবে লোহিত সাগর এবং এডেন উপসাগরে বাণ্যিজ্যিক জাহাজগুলোকে হামলার লক্ষ্যবস্তু করছে, যার ফলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং কখনও কখনও ব্রিটিশ বাহিনী হুথিদের লক্ষ্যবস্তুতে প্রতিশোধমূলক হামলা চালায়।
ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র ড্যানিয়েল হাগারি বলেছেন, ইসরায়েলি বাহিনী ইয়েমেনের রাজধানী সানায়, বন্দর এবং জ্বালানি অবকাঠামোসহ হুথি সামরিক স্থাপনাগুলোতে হামলা চালিয়েছে।
সূত্র : আল-জাজিরা।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত