ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জানিয়েছেন, তিনি আগামী শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্র সফরের আশা করছেন। সফরের মূল লক্ষ্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে খনিজ সম্পদ বিষয়ক চুক্তি স্বাক্ষর এবং প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ভবিষ্যৎ সহায়তা নিয়ে আলোচনা।
ট্রাম্প প্রশাসন ইউক্রেনের দুর্লভ খনিজ সম্পদের প্রবেশাধিকার দাবি করেছে। যুদ্ধকালীন সময়ে দেওয়া আর্থিক সহায়তার বিনিময় হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র এটা চায়।
মঙ্গলবার রাতে এক সিনিয়র ইউক্রেনীয় কর্মকর্তা এএফপি-কে জানিয়েছেন, কিয়েভ এই চুক্তির শর্ত মেনে নিয়েছে। চুক্তি অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ যৌথভাবে উন্নয়ন করবে। আশা করা হচ্ছে, শুক্রবার ওয়াশিংটনে এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করবেন জেলেনস্কি।
বুধবার সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে জেলেনস্কি বলেন, আমি এই সফরটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ মনে করি। এটি কেবল শুরু, একটি কাঠামো। এটি সফল হতে পারে, তবে সাফল্য নির্ভর করবে আমার ও প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের আলোচনার ওপর।
জেলেনস্কি আরও জানান, এই চুক্তি থেকে অর্জিত রাজস্ব একটি তহবিলে জমা হবে, যা ইউক্রেন ও যুক্তরাষ্ট্র যৌথভাবে পরিচালনা করবে। তিনি জোর দিয়ে বলেন, বাইডেন প্রশাসনের দেওয়া সহায়তার জন্য ইউক্রেন কোনো ধরনের দেনার বোঝা বহন করবে না। ‘এটি আমাদের জন্য ন্যায়সংগত হবে না,’ মন্তব্য করেন তিনি।
এছাড়া, জেলেনস্কি ট্রাম্পের কাছে জানতে চাইবেন, যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে সহায়তা বন্ধ করবে কিনা। যদি সহায়তা বন্ধ হয়, তবে যুক্তরাষ্ট্র থেকে অস্ত্র কেনার সুযোগ থাকবে কি না, সেটিও তিনি জানতে চান।
ইউক্রেন আশা করছে, এই চুক্তি ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক উন্নত করতে সাহায্য করবে। সাম্প্রতিক সময়ে জেলেনস্কি ও ট্রাম্পের মধ্যে বাকযুদ্ধের কারণে সম্পর্কের অবনতি ঘটেছে।
তবে কিয়েভ নিরাপত্তা নিশ্চয়তার বিষয়টিও আলোচনায় আনতে চায়। যদিও বর্তমান খসড়া চুক্তিতে যুক্তরাষ্ট্র কোনো নিরাপত্তা প্রতিশ্রুতি দেয়নি বলে জানিয়েছেন ইউক্রেনের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল