ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার উত্তরাঞ্চলে শুক্রবার (১৬ মে) সকাল থেকে শুরু হয় ইসরায়েলি বাহিনীর ভয়াবহ বিমান হামলা। এদিন গড় হিসেবে প্রতি চার মিনিটে একবার হামলা চালিয়েছে দখলদার বাহিনী- যা চলমান যুদ্ধে অন্যতম ভয়ঙ্কর দিন হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, উত্তরাঞ্চলে চালানো এই নারকীয় হামলায় একশরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে রয়েছে নারী ও শিশুসহ অসংখ্য বেসামরিক নাগরিক। গাজা সিভিল ডিফেন্স জানিয়েছে, একাধিক বাড়ি ও তাঁবু লক্ষ্য করে বোমা বর্ষণ করা হয়। ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছে বহু মানুষ, যাদের অনেকেই মোবাইল ফোনে শেষবারের মতো বাঁচার আকুতি জানিয়েছিলেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, ইসরায়েলি বাহিনী ঘুমন্ত মানুষদের ওপর আচমকা হামলা চালায়। স্থানীয় বাসিন্দা বাশির আল-গানধুর জানান, তার বাড়ির আশপাশেই প্রাণ হারিয়েছেন ১১ জন- যাদের মধ্যে রয়েছে তার দুই ভাতিজি ও এক ভাতিজা। ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনো আটকা পড়ে আছেন তার ভাইয়ের স্ত্রী। তিনি বলেন, “বোমার তীব্রতায় উদ্ধার কাজ করাই সম্ভব হচ্ছে না।
এর আগে, ইসরায়েল হুঁশিয়ারি দিয়েছিল, হামাস যুদ্ধবিরতিতে না এলে গাজায় আরও ভয়াবহ হামলা চালানো হবে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য সফর শেষে ফেরার পরই শুরু হয় এই গণবিধ্বংসী অভিযান।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ইসরায়েল-গাজা সংঘাতে এখন পর্যন্ত ৫৩ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন- যার বড় অংশই নারী ও শিশু।
সূত্র- বিবিসি।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ