সংঘাত শুরু হওয়ার পর থেকে ইউক্রেনের ওপর সবচেয়ে বড় হামলাটি শনিবার চালিয়েছে রাশিয়া। এই দাবি করে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি অভিযোগ করেছেন, রাশিয়ার সাম্প্রতিক হামলার পর যুক্তরাষ্ট্রের নীরবতাই ভ্লাদিমির পুতিনকে উৎসাহিত করছে।
রাতভর চালানো এই হামলায় রাশিয়া যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে এক রাতে সর্বোচ্চ সংখ্যক ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে।
ইউক্রেন জুড়ে ব্যাপক হামলায় তিন শিশুসহ কমপক্ষে ১২ জন নিহত হয়েছে। এতে আহত হয়েছে আরও অনেকে। যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে রাজধানী কিয়েভে সবচেয়ে ভয়াবহ হামলার একদিন পর এই হামলাটি করা হয়েছে।
জেলেনস্কি সতর্ক করে বলেছেন, রাশিয়ার নেতৃত্বের ওপর কঠোর চাপ না দিয়ে রাশিয়ার বর্বরতা বন্ধ করা যাবে না।
আন্তর্জাতিকভাবে ক্রমবর্ধমান আহ্বান সত্ত্বেও মস্কো তার বিমান অভিযান তীব্রতর করে চলেছে। আক্রমণ বন্ধ করার কোনও লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। যুদ্ধবিরতির আহ্বান উপেক্ষা করছে রাশিয়া।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প পূর্বে দাবি করেছেন, পুতিন যুদ্ধ শেষ করতে আগ্রহী। তার প্রতি এক স্পষ্ট বার্তায় জেলেনস্কি বলেছেন, বিশ্ব ছুটিতে যেতে পারে কিন্তু যুদ্ধ অব্যাহত রয়েছে। জেলেনস্কি বলেন, এটি উপেক্ষা করা যাবে না। আমেরিকার নীরবতা এবং বিশ্বের অন্যদের নীরবতা কেবল পুতিনকে উৎসাহিত করে।
ইউক্রেনের বিমান বাহিনী জানিয়েছে যে শনিবার স্থানীয় রাত ৮:৪০ থেকে রাশিয়া বিভিন্ন ধরণের ৩৬৭টি ক্ষেপণাস্ত্র, মনুষ্যবিহীন বিমান এবং ড্রোন ব্যবহার করে হামলা চালিয়েছে।
ইউক্রেনের বিমান বাহিনী জানিয়েছে, তারা ৪৫টি ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিত করেছে এবং ২৬৬টি ড্রোন ধ্বংস করেছে। যার মধ্যে ইউক্রেনের বেশিরভাগ অঞ্চল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ২২টি স্থানে আঘাতের চিহ্ন রেকর্ড করা হয়েছে। উদ্ধারকারীরা ৩০টিরও বেশি শহর ও গ্রামে কাজ করছে।
সূত্র: বিবিসি
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল