ভারতীয় পণ্যের উপর শুল্ক দ্বিগুণ করে ৫০ শতাংশে উন্নীত করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এর একদিন পরই বড় ধাক্কা খেল ভারতের শেয়ারবাজার।
বৃহস্পতিবার সকালেই সেনসেক্স সূচক ৩৩৫.৭১ পয়েন্ট পড়ে ৮০ হাজার ২০৮.২৮-এ দাঁড়ায়। নিফটি সূচক ১১৪.১৫ পয়েন্ট কমে ২৪ হাজার ৪৬০.০৫-এ নামে।
ট্রাম্প প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তে ভারত এখন সবচেয়ে বেশি শুল্ক আরোপিত মার্কিন বাণিজ্য অংশীদারদের তালিকায় উঠে এসেছে। হঠাৎ করে এই শুল্ক বৃদ্ধিকে ঘিরে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে, বিশেষ করে যেসব খাত রফতানি নির্ভর।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শুল্ক পরিস্থিতি দীর্ঘস্থায়ী হলে ভারতের জিডিপি প্রবৃদ্ধিতে ৩০ থেকে ৪০ বেসিস পয়েন্ট পর্যন্ত ধাক্কা আসতে পারে। এইচডিএফসি সিকিউরিটিজ-এর প্রধান নির্বাহী ধীরাজ রেল্লির মতে, ‘দীর্ঘমেয়াদে এ ধরনের শুল্ক ভারতের অর্থনীতির গতি কমিয়ে দিতে পারে।’ তবে রিজার্ভ ব্যাংক এখনও পর্যন্ত তাদের জিডিপি প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস ৬.৫ শতাংশেই অপরিবর্তিত রেখেছে।
কোটাক মাহিন্দ্রা অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানির সিইও নিলেশ শাহ বলেন, “শুল্ক দ্বিগুণ হওয়া এবং যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি একসঙ্গে বিনিয়োগ পরিবেশকে নাড়িয়ে দিতে পারে।”
শুল্কের প্রভাব পড়লেও এক মাসের ডলার-রুপি ফরওয়ার্ড (এনডিএফ) অনুসারে ভারতীয় মুদ্রা বৃহস্পতিবার স্থিতিশীল থাকারই ইঙ্গিত দিচ্ছে।
ট্রাম্প যদিও চিপ রফতানিকারকদের ওপর ১০০ শতাংশ শুল্কের হুমকি দিয়েছেন, তবে অ্যাপলের মতো মার্কিন বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানগুলো ছাড় পাওয়ায় এশীয় বাজারে উল্টো চাঙ্গাভাব দেখা গেছে।
এমএসসিআই-এর এশীয় সূচক ০.৮ শতাংশ বেড়েছে, সিঙ্গাপুরের গিফট নিফটি সূচকও সকালের দিকে সামান্য পতনের আভাস দিলেও পরিস্থিতি স্থিতিশীল। এদিকে তাইওয়ান সেমিকন্ডাক্টর ৪.৪ শতাংশ ও স্যামসাং ১.৯ শতাংশ শেয়ারদর বৃদ্ধি পেয়েছে।
বাজার এখন তাকিয়ে রয়েছে দুই দেশের পরবর্তী পদক্ষেপের দিকে। কূটনৈতিকভাবে এই সমস্যার সমাধান না হলে আগামী দিনগুলোতে ভারতের শেয়ারবাজারে আরও ধস নামার আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে। সূত্র: দ্য হিন্দুস্তান টাইমস
বিডি প্রতিদিন/একেএ