ভারতে ২১ দিনের লকডাউন চলছে। এই লকডাউনের সময় নজিরবিহীন এক উদ্যোগ নিয়েছে দেশটির রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। আগামী ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত সারা দেশে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল স্থগিতের সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা। ভারতীয় রেলের ১৬৭ বছরের ইতিহাসে এ ধরনের ঘটনা এটাই প্রথম। চলাচল স্থগিত হওয়া ট্রেনগুলোকে এখন দৃশ্যত হাসপাতালে পরিণত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। গতকাল সিএনএন-এর এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এমন তথ্য। প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারতে করোনার প্রাদুর্ভাব শুরু হতেই ট্রেনের ২০ হাজার পুরনো বগিকে আইসোলেশন ওয়ার্ডে রূপান্তরের সিদ্ধান্ত নেয় রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। ইতিমধ্যেই তারা দেশজুড়ে ১২৫টি হাসপাতাল পরিচালনা করছে। ফলে মোবাইল বেড বাড়ানোর দক্ষতা তাদের রয়েছে। ভারতীয় রেলওয়ে বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম রেল অপারেটর। ভারতে সবচেয়ে বেশি কর্মী রয়েছে এ প্রতিষ্ঠানে। ৬ এপ্রিল যুক্তরাষ্ট্রের জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা জানিয়েছেন, ভারতে করোনাভাইরাসে এখন পর্যন্ত অন্তত ১১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর আক্রান্ত হয়েছেন চার হাজার ৩১৪ জন। চিকিৎসা গ্রহণের পর সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৩২৮ জন। ভারতীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব লব আগরওয়াল জানিয়েছেন, তার দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে ৪২ শতাংশের বয়স ২১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে। যুক্তরাষ্ট্র বা ইতালির সঙ্গে তুলনা করলে ১৩০ কোটি মানুষের দেশে ১১৮ জনের মৃত্যু খুব বড় সংখ্যা নয়। দেশটির হাসপাতালগুলোতে এখনো মানুষের উপচে পড়া ভিড় দেখা যাচ্ছে না। ফলে অবস্থা আরও খারাপের দিকে গেলে এই ট্রেন হাসপাতালগুলো পরিস্থিতি মোকাবিলায় সহায়ক হবে। গত ২৮ মার্চ টুইটারে দেওয়া এক পোস্টে এ নিয়ে কথা বলেছেন ভারতের রেলমন্ত্রী পীযূষ গয়াল। তিনি বলেন, মানুষ যেন স্বাচ্ছন্দ্যের সঙ্গে চিকিৎসা নিতে পারে সেই ব্যবস্থা করবে রেল কর্তৃপক্ষ। রোগীরা সেখানে পরিষ্কার ও স্বাস্থ্যকর পরিবেশ পাবে। ভারতে সাধারণত দৈনিক ২০ হাজারের বেশি ট্রেন চলাচল করে। এসব ট্রেন দেশজুড়ে সাত হাজার ৩৪৯টি স্টেশন প্রদক্ষিণ করে। তবে বিদ্যমান লকডাউনের ফলে প্রায় ৬৭ হাজার ৩৬৮ কিলোমিটার এলাকায় আর ট্রেন চলাচলের সুযোগ থাকছে না। ফলে কয়েক হাজার যাত্রীবাহী ট্রেন এমনিতেই অলস পড়ে আছে। তবে মালবাহী ট্রেন এখনো পর্যন্ত চালু রয়েছে। এখন ব্যবহৃত হচ্ছে না এমন নন এসি বগিগুলো শনাক্ত করতে রেলওয়ের ১৬টি জোনের কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। মূলত এ বগিগুলোকেই হাসপাতাল বা আইসোলেশন ওয়ার্ডে পরিণত করা হচ্ছে। জরুরি প্রয়োজনে এসব হাসপাতাল বা ওয়ার্ড ব্যবহার করতে পারবে রোগীরা।
শিরোনাম
- আমার ছেলের খুনীর ফাঁসি যেন দেখে যেতে পারি: আবু সাঈদের বাবা
- দিল্লি বিস্ফোরণে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৫, গ্রেফতার আরও এক কাশ্মীরি
- মালয়েশিয়ায় শর্টপিচ ক্রিকেট টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন সাইবারজায়া ইউনিভার্সিটি
- আফ্রিকার ছয় দেশে আছে রুশ সেনার উপস্থিতি: রাষ্ট্রীয় টিভি
- ‘খালেদা জিয়াকে দেশের সেরা জয় উপহার দিতে চাই’
- উইঘুর যোদ্ধাদের চীনের কাছে হস্তান্তর করবে সিরিয়া
- ‘একটি দল ক্ষমতায় যেতে প্রলাপ বকছে’
- সিরিয়ায় শান্তি প্রতিষ্ঠায় পাশে থাকবে চীন
- বগুড়ায় কোলগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ে জরাজীর্ণ ভবনে চলছে পাঠদান
- শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় নিয়ে যা বলল ভারত
- মোংলায় জলবায়ু পরিবর্তন ও দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসকরণ বিষয়ক সমন্বয় সভা
- আকাশ প্রতিরক্ষা ও যুদ্ধবিমান চুক্তি চূড়ান্ত করতে ফ্রান্সে জেলেনস্কি
- অস্ট্রেলিয়ায় বিএনপির জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উদযাপন
- ভারতের চা, মশলা, আমসহ কয়েকটি পণ্যে শুল্ক প্রত্যাহার করলেন ট্রাম্প
- নওগাঁর মান্দায় ধানের শীষে ডা. টিপুর নির্বাচনী পথসভা
- পাঙ্গাস পোনা শিকারের দায়ে জেলের কারাদণ্ড
- পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত ডিআইজি মিলন কারাগারে
- রাতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠক
- নির্বাচনের আগেই হাসিনাকে দেশে এনে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের দাবি সারজিসের
- কলাপাড়ায় অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়ে ৫ জন হাসপাতালে