শুক্রবার, ১১ ডিসেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

ছেলের বিরুদ্ধে আয়কর তদন্তে অস্বস্তিতে বাইডেন

ছেলের বিরুদ্ধে আয়কর তদন্তে অস্বস্তিতে বাইডেন

হান্টার বাইডেন

প্রেসিডেন্ট-ইলেক্ট জো বাইডেন অস্বস্তির মধ্যে পড়লেন। শপথ নেওয়ার আগে তাঁর ছেলে হান্টার বাইডেনের বিরুদ্ধে আয়কর সংক্রান্ত তদন্ত শুরু হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে চীনা যোগ ও কর ফাঁকির অভিযোগে তদন্ত শুরু করেছে মার্কিন জাস্টিস ডিপার্টমেন্ট। এপি সূত্রে খবর, ব্যবসায় রাজনৈতিক প্রভাব খাটানো, বিদেশি সংস্থার সঙ্গে বাণিজ্যের ক্ষেত্রে সরকারি নিয়ম ভাঙা, বেআইনি আর্থিক লেনদেন এবং কর ফাঁকির অভিযোগ রয়েছে ৫০ বছরের হান্টারের বিরুদ্ধে। রাজস্ব দফতরের পাশাপাশি গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআইয়ের কর্মকর্তাদের নিয়ে গঠিত হয়েছে তদন্তকারী দল। তবে হবু প্রেসিডেন্ট বাইডেনের বিরুদ্ধে কর অনিয়ম সংক্রান্ত কোনো অভিযোগ নেই বলে তদন্তকারী সংস্থা জানিয়েছে।

এদিকে বাইডেন-পুত্র বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছেন, ‘আমি গতকাল জানলাম যে, মার্কিন আটর্নির অফিস আমার আয়কর নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে। আমি এই ঘটনাকে খুবই গুরুত্ব দিচ্ছি। আমি আত্মবিশ্বাসী যে, এই ব্যাপারে পেশাদার ও বস্তুনিষ্ঠ পর্যালোচনা হবে।’ তাঁর দাবি, ‘আয়করের বিষয়টি আমি আইনি পথে থেকে করেছি এবং ঠিকভাবে করেছি। পেশাদার কর পরামর্শদাতাদের কথা মেনেই করেছি।’

বাইডেনের শিবিরের তরফে আরেকটি বিবৃতি দিয়ে   জানানো হয়েছে, ‘প্রেসিডেন্ট ইলেক্ট তাঁর ছেলেকে নিয়ে খুবই গর্বিত। গত কয়েক মাসে হান্টারের বিরুদ্ধে   বিষাক্ত রাজনৈতিক আক্রমণ করা হয়েছে। কিন্তু তিনি সেই চ্যালেঞ্জ সাফল্যের সঙ্গে মোকাবিলা করেছেন। এই আক্রমণ তাঁকে আরও বলিষ্ঠ করেছে।’ অর্থাৎ, নাম না করেই ট্রাম্পের দিকেই অভিযোগের আঙ্গুল তোলা হয়েছে। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারে ট্রাম্প  নিয়মিতভাবে বাইডেনের ছেলের বিরুদ্ধে কর ফাঁকির অভিযোগ করেছেন।

তবে এই তদন্তের নির্দেশ বাইডেনের কাছে অস্বস্তির কারণ। কারণ, তিনি এখন তাঁর মন্ত্রীদের নাম ঘোষণা করছেন। কিছুদিনের মধ্যে পরবর্তী আটর্নি জেনারেলের নামও ঘোষণা করবেন। তখন তিনিই তদন্ত সামলাবেন। আগামী ২০ জানুয়ারি বাইডেন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেবেন। তার আগে তদন্ত শেষ হলে ভালো। না হলে তাঁর সামনে তদন্ত-কাঁটা থাকবে। ট্রাম্প ও তাঁর সহযোগীদের অভিযোগ ছিল, বাইডেন যখন ভাইস প্রেসিডেন্ট ছিলেন, তখন বিদেশে ব্যবসা বাড়ানোর জন্য তাঁর রাজনৈতিক যোগাযোগকে কাজে লাগিয়েছিলেন হান্টার। বাইডেন-পুত্র ২০১৪ সালে ইউক্রেনের অ্যানার্জি কোম্পানির বোর্ড সদস্য হন। তখনই বাইডেনের বিরুদ্ধে স্ব^ার্থের সংঘাতের অভিযোগ ওঠে। কারণ, বাইডেন তখন ইউক্রেন বিষয়ে মার্কিন নীতি তৈরির মধ্যে ছিলেন। গত সেপ্টেম্বরে সিনেটে রিপাবলিকান সদস্যের নেতৃত্বাধীন দুটি কমিটি একটি রিপোর্ট প্রকাশ করে। তাতে বলা হয়েছিল, হান্টার বাইডেনের বোর্ড সদস্য হওয়াটা সমস্যাজনক এবং এর ফলে সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার অফিসের পক্ষে নিরপেক্ষভাবে নীতির রূপায়ণে অসুবিধা হয়েছে। তবে হান্টার বাইডেনের কোন কাজের ফলে নীতি রূপায়ণে বাধা এসেছে, তা কমিটি জানায়নি। ডয়চে ভেলে

সর্বশেষ খবর