রবিবার, ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ০০:০০ টা

টিকায় বন্ধ্যাত্বের কোনো প্রমাণ নেই

টিকায় বন্ধ্যাত্বের কোনো প্রমাণ নেই

‘কভিড-১৯ টিকা গ্রহণে নারীরা সন্তান জন্মদানে অক্ষম হয়ে পড়েন’- সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঘুরে বেড়ানো এ ধরনের কথাকে একেবারেই ভিত্তিহীন ও গুজব বলেছেন বিশেষজ্ঞরা। বিবিসি জানায়, সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কিছু পোস্টে ফাইজারের কভিড-১৯ টিকা নারীদের বন্ধ্যা করে দেয় বা গর্ভবতী নারীদের বেলায় এটা প্ল্যাসেন্টায় আক্রমণ করে বলে দাবি করা হয়। যে দাবিকে সম্পূর্ণ ভুয়া বলে উড়িয়ে দেন কিংস কলেজ লন্ডনের অধ্যাপক লুসি চ্যালেপ। তিনি বলেন, এমন কোনো জৈবিক প্রক্রিয়ার ‘বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ’ এখনো পাওয়া যায়নি। কিসের ভিত্তিতে গুজব ছড়াচ্ছে : ফাইজারের কভিড টিকা নিয়ে যুক্তরাজ্য সরকার এর আগে যে দিকনির্দেশনা দিয়েছিল তার একটি লাইনের কথা উল্লেখ করে অনলাইনে কিছু মানুষ এ গুজব ছড়াচ্ছেন। ওই লাইনে বলা হয়েছিল, ফাইজারের টিকা প্রজনন ক্ষমতার ওপর কোনো প্রভাব ফেলে কিনা ‘তা এখনো অজানা’। পরে ওই তথ্য আপডেট করে স্পষ্ট করে বলা হয়, ‘প্রাণী দেহের ওপর পরীক্ষা করে ফাইজারের টিকায় প্রজনন ক্ষমতার ওপর কোনো নেতিবাচক প্রভাব পড়ার প্রমাণ পাওয়া যায়নি।’ এরপরও এখানে কিছু বিভ্রান্তির সুযোগ থেকে যায়। এ বিষয়ে অধ্যাপক চ্যাপেল বলেন, যখন বিজ্ঞানীরা বলেন এখনো কোনো ‘প্রমাণ পাওয়া যায়নি’, এর অর্থ হলো, ‘এখনো নির্দিষ্ট ওই টিকা নিয়ে দীর্ঘমেয়াদে পরীক্ষা-নিরীক্ষা হয়নি। ‘কিন্তু এর মানে তো এই নয় যে এখন তাদের হাতে কোনো তথ্যই নেই। তাই আমরা আন্দাজে অন্ধকারে গুলি ছুড়ব।’ বরং নিষ্ক্রিয় ভাইরাস ব্যবহার করে বানানো অন্যান্য অনেক টিকা সম্পূর্ণ নিরাপদ প্রমাণিত হয়েছে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘যেমন ফ্লুর টিকা।

এটা সম্পূর্ণ নিরাপদ। প্রজনন ক্ষমতার ওপর এর কোনো ক্ষতিকর প্রভাব নেই। এমনকি গর্ভবতী নারীরাও এ টিকা নিতে পারেন।  ‘বরং কভিড-১৯ এ আক্রান্ত হলে আপনার প্রজনন ক্ষমতায় তার প্রভাব হয়তো পড়তে পারে।

সর্বশেষ খবর