শিরোনাম
বৃহস্পতিবার, ১৫ জুলাই, ২০২১ ০০:০০ টা

ভয়ংকর বিপদ ডেকে আনছে চাঁদ!

ভয়ংকর বিপদ ডেকে আনছে চাঁদ!

রাতের আকাশে ‘রোমান্টিক’ উপস্থিতি দিয়ে যুগের পর যুগ মানুষের কল্পনার সঙ্গী চাঁদ। তবে মোহনীয় এই চাঁদ পৃথিবীর জন্য অভিশাপ নিয়ে আসছে আগামী দশকে। যুক্তরাষ্ট্রসহ পৃথিবীর বিভিন্ন উপকূলবর্তী এলাকায় প্রবল বন্যা হবে। এর জন্য দায়ী উষ্ণায়ন নয়, বরং চাঁদ। এই অশনি সংকেতের খবর দিয়েছে নাসা। মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার পক্ষ থেকে অনুমান করা হয়েছে, এই ভয়ংকর বন্যার জেরে সমুদ্র ও মহাসাগরগুলোর পানির স্তর অস্বাভাবিক হবে। সমুদ্রতীরবর্তী দেশগুলোর নিচু এলাকা জলের তলায় চলে যেতে পারে, এমনটাই জানিয়েছেন নাসার অ্যাডমিনিস্ট্রেটর বিল নেলসন। আন্তর্জাতিক গবেষণাপত্র ‘নেচার ক্লাইমেট চেঞ্জ’-এ গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হয়েছে। ওই গবেষণাপত্রে এমন আশঙ্কার কথা তুলে ধরা হয়েছে।

নাসার বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, কক্ষপথে পৃথিবীকে প্রদক্ষিণের সময় একটু ঝুঁকে পড়ে চাঁদ। যার জেরেই এই বিপদ হতে পারে। ঝুঁকে পড়ে পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করে চাঁদ, এমন অবস্থানকেই বিপদ হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। কক্ষপথে প্রদক্ষিণ করতে সাড়ে ১৮ বছরের একটি চক্র রয়েছে চাঁদের। এই সময়কালে চাঁদের জন্য পৃথিবীর সমুদ্রের পানির    স্তর বাড়বে। যার প্রভাব পড়বে স্বাভাবিক জীবনযাপনে। বিশেষত উপকূলবর্তী এলাকায় মারাত্মক প্রভাব পড়তে পারে।

ওই গবেষণায় বলা হয়েছে, ২০৩০ সালের দশকে ন্যুইস্যান্স ফ্লাডের সংখ্যা মারাত্মকভাবে বাড়বে। যুক্তরাষ্ট্রের অধিকাংশ উপকূলবর্তী এলাকায় এর জেরে সমুদ্রে পানির স্তর বৃদ্ধি পাবে। বছরের কয়েক মাসের মধ্যেই বারবার এমনটা হবে বলে আশঙ্কা করা হয়েছে। নাসার অ্যাডমিনিস্ট্রেটর বিল নেলসন জানিয়েছেন, চাঁদের মহাকর্ষীয় টান, সমুদ্রের জলস্তর ও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে পৃথিবীতে বন্যা বাড়বে।

নাসা বলছে, এখন ভাটার প্রাবল্য বেশি। কিন্তু তিনের দশকে বেড়ে যাবে জোয়ারের প্রাবল্য। বেড়ে যাবে সমুদ্রের জলস্তর। ফলে উপকূলবর্তী শহর-গ্রাম সব ভেসে যাবে। আতঙ্ক আরও বাড়ছে কারণ, একবার দুবার নয়, বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে বারবার এবং ঘনঘন।

সর্বশেষ খবর