শুক্রবার, ২৪ ডিসেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

বুস্টার ডোজ নিয়ে বৈষম্য আরও বাড়ার শঙ্কা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার

উচ্চ আয়ের দেশগুলোর ৬৭ শতাংশ মানুষ প্রথম ডোজ টিকা নিয়েছে। কিন্তু নিম্ন আয়ের দেশগুলোয় এর পরিমাণ ১০ শতাংশের কম

ডব্লিউএইচও প্রধান তেদ্রোস আধানম গেব্রিয়াসিস এক সতর্কবার্তায় বলেছেন, ধনী দেশগুলো বুস্টার ডোজ চালুর জন্য যে তড়িঘড়ি শুরু করেছে তাতে ভ্যাকসিন বৈষম্য আরও বাড়বে। আর এতে মহামারী আরও দীর্ঘায়িত হবে। এ বুস্টার ডোজ দিয়ে কোনো দেশই মহামারী কাটাতে পারবে না। সূত্র : রয়টার্স।

গতকালের বার্তায় গেব্রিয়াসিস জোর দিয়ে বলেন, ‘ভ্যাকসিন যারা এরই মধ্যে পেয়েছেন তাদের বদলে সব জায়গার দুর্বলতম মানুষদের অবশ্যই অগ্রাধিকার দিতে হবে।’ দীর্ঘদিন ধরেই ভ্যাকসিন বৈষম্য নিয়ে সতর্ক করে আসছে জাতিসংঘের বিশেষায়িত সংস্থা ডব্লিউএইচও। তারা বলছে, কিছু জায়গায় কভিড অপ্রতিরোধ্য গতিতে ছড়াতে দিলে নতুন, আরও বিপজ্জনক ভ্যারিয়েন্ট তৈরির আশঙ্কা নাটকীয়ভাবে বেড়ে যেতে পারে।

ডব্লিউএইচও মহাপরিচালক তেদ্রোস আধানম গেব্রিয়াসিস বলেন, ‘ব্যাপক বুস্টার কর্মসূচি মহামারী অবসানের বদলে এটি দীর্ঘায়িত করতে যাচ্ছে। যেসব দেশে এরই মধ্যে উঁচুমাত্রার ভ্যাকসিন কাভারেজ রয়েছে সেখানে আরও ডোজ সরবরাহ করা হলে ভাইরাসটি আরও বেশি ছড়িয়ে পড়ার এবং পরিবর্তিত হওয়ার সুযোগ পাবে।’

প্রসঙ্গত, কয়েক মাস আগে তেদ্রোস আধানম গেব্রিয়াসিস বুস্টার ডোজ প্রয়োগ স্থগিত রাখার আহ্বান জানান। ওই সময় তিনি বলেন, সব দেশের অন্তত ৪০ শতাংশ মানুষ প্রথম ডোজ নেওয়ার আগে বুস্টার প্রয়োগ বন্ধ রাখা উচিত। বুধবার তিনি জানান, ওই লক্ষ্য অর্জনে এ বছর সারা বিশ্বে পর্যাপ্ত টিকা সরবরাহ করা হয়েছে। কিন্তু এ সরবরাহে বিঘ্ন ঘটলে বিশ্বের মাত্র অর্ধেক দেশ সেই লক্ষ্য অর্জন করতে পারবে।

জাতিসংঘের হিসাব অনুযায়ী বিশ্বের উচ্চ আয়ের দেশগুলোর ৬৭ শতাংশ মানুষ অন্তত প্রথম ডোজ টিকা নিয়েছে। কিন্তু নিম্ন আয়ের দেশগুলোয় এর পরিমাণ ১০ শতাংশের কম।

তেদ্রোস বলেন, ‘এটা আসলেই বোঝা কঠিন যে প্রথম ভ্যাকসিন প্রয়োগের এক বছর পার হয়ে গেলেও আফ্রিকার প্রতি চারজন স্বাস্থ্যকর্মীর তিনজনই এখনো টিকা পাননি।’

 

সর্বশেষ খবর