বুধবার, ২৫ জানুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা

ইরানের ওপর যুক্তরাষ্ট্র ইইউ যুক্তরাজ্যের নিষেধাজ্ঞা

বিপ্লবী রক্ষীবাহিনীর ৩০-এর বেশি ইরানি কর্মকর্তা ও প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ইইউ

ইরানে সরকারবিরোধী বিক্ষোভে নিরাপত্তা বাহিনীর তীব্র দমনপীড়নের প্রতিক্রিয়ায় তেহরানের ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)।

ইরানের সঙ্গে পশ্চিমা দেশগুলোর সম্পর্ক এমনিতেই ভালো না, সেপ্টেম্বরে নীতি পুলিশ হেফাজতে কুর্দি নারী মাহসা আমিনির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট অস্থিরতা দমনে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশটির সরকারি বাহিনীগুলোর বিরুদ্ধে ভয়াবহ দমনপীড়নের অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি নিয়ে প্রতিনিয়ত প্রতিবাদ জানাচ্ছে পশ্চিমা বিশ্ব। আর পশ্চিমাদের নিষেধাজ্ঞা তাদের মধ্যে সম্পর্কে চরম আকার ধারণ করবে তা নিশ্চিত।

যুক্তরাষ্ট্রের এবারের নিষেধাজ্ঞার লক্ষ্য ইরানের প্রভাবশালী বিপ্লবী রক্ষীবাহিনী (আইআরজিসি) ও বিক্ষোভ দমনের দায়িত্বে থাকা শীর্ষ কর্মকর্তারা। তারা নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে আইআরজিসি কোঅপারেটিভ ফাউন্ডেশন ও এর পরিচালনা পর্ষদের পাঁচ সদস্যের ওপর; ইরানের গোয়েন্দা ও নিরাপত্তাবিষয়ক উপমন্ত্রী নাসের রাশেদি এবং আইআরজিসির চার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাও তাদের কালো তালিকায় ঢুকেছে। ওয়াশিংটনের অভিযোগ, আইআরজিসি শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ কর্মসূচিতে দমনপীড়ন চালিয়েই যাচ্ছে এবং এরা মানবাধিকারের বিস্তৃত লঙ্ঘনের মাধ্যমে বিক্ষোভ দমানোর ক্ষেত্রে নেতৃত্বের ভূমিকা পালন করছে। ১৯৭৯ সালের ইসলামি বিপ্লবের শিয়া মতবাদ সুরক্ষায় এ আইআরজিসি গঠিত হয়েছিল; বাহিনীটিতে এখন সেনা, নৌ ও বিমান ইউনিট মিলিয়ে আনুমানিক ১ লাখ ২৫ হাজারের মতো সদস্য আছে বলে মনে করা হয়।

একই অভিযোগে বিপ্লবী রক্ষীবাহিনীর কিছু ইউনিটসহ ৩০-এর বেশি ইরানি কর্মকর্তা ও প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। ব্রাসেলসে এক বৈঠকে ইইউ-র ২৭টি দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা এ পদক্ষেপের ব্যাপারে সম্মত হন। তাদের নিষেধাজ্ঞায় ১৮ ব্যক্তি ও ১৯টি প্রতিষ্ঠান পড়েছে। নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়া কর্মকর্তারা ইইউ-তে যেতে পারবেন না, ইইউ-তে থাকা তাদের সম্পদও জব্দ হতে পারে। যুক্তরাজ্যও সোমবার ইরানি জনগণের ওপর ‘নির্মম নিপীড়ন’ চালানোর অভিযোগে একাধিক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে নিষেধাজ্ঞার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছে।

সর্বশেষ খবর