বুধবার, ১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা

ইউক্রেনের আশাভঙ্গ, এফ-১৬ দিচ্ছে না যুক্তরাষ্ট্র

জার্মানি ও যুক্তরাষ্ট্র আপাতত বিরোধিতা করলেও ফ্রান্স, পোল্যান্ড ও নেদারল্যান্ডস বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করতে প্রস্তুত

পশ্চিমা বিশ্ব থেকে আধুনিক ট্যাংকের প্রতিশ্রুতি পেতে না পেতেই ইউক্রেন যুদ্ধবিমান চাওয়া শুরু করে। বিশেষ করে এফ-১৬। কিন্তু সেই আশায় ছাই ঢেলে দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বাইডেন সরাসরি জানিয়ে দিলেন কোনোভাবেই ইউক্রেনকে এফ-১৬ যুদ্ধবিমান দেওয়া হবে না। ইউক্রেনের আকাশের নিয়ন্ত্রণ এখন মস্কোর কাছে। এই অবস্থা পরিবর্তনে এফ-১৬সহ পশ্চিমা আধুনিক যুদ্ধবিমান চায় কিয়েভ। বর্তমানে বেলজিয়াম ও পাকিস্তানের মতো দেশগুলোর বিমানবাহিনীর প্রধান ভরসা এফ-১৬। এ বিমান পেলে আকাশে ইউক্রেনের শক্তি বৃদ্ধি পাবে। দেশটি সোভিয়েত ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর গত তিন দশকেও আধুনিক কোনো যুদ্ধবিমান সার্ভিসে আনতে পারেনি। অপরদিকে রাশিয়া পশ্চিমাদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে যুদ্ধবিমানের উন্নতি করে চলেছে। সম্প্রতি তারা পঞ্চম প্রজন্মের সু-৫৭ যুদ্ধবিমান ব্যবহার শুরু করেছে। এমন প্রেক্ষাপটে পশ্চিমা মিত্রদের কাছ থেকে এখন যুদ্ধবিমান চায় ইউক্রেন।

কিন্তু এখনো পর্যন্ত ইউক্রেনের এমন অনুরোধে ইতিবাচক সাড়া দেখাচ্ছেন না পশ্চিমা নেতারা। জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস আগেই ইউক্রেনের জন্য সামরিক সহায়তার ক্ষেত্রে পশ্চিমা দেশগুলোর মধ্যে নিলাম প্রতিযোগিতার বিরোধিতা করেছিলেন। এবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সরাসরি এফ-১৬ বোমারু বিমান পাঠানোর প্রশ্নে নেতিবাচক অবস্থান নিলেন। তবে জার্মানি ও যুক্তরাষ্ট্র আপাতত বিরোধিতা করলেও ফ্রান্স, পোল্যান্ড ও নেদারল্যান্ডসের মতো দেশ বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করতে প্রস্তুত। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট মাক্রোঁ বলেন, সামরিক সহায়তার ক্ষেত্রে কোনো কিছুই আলোচনার ঊর্ধেŸ থাকতে পারে না। তবে বোমারু বিমান সরবরাহের অনুরোধ মানার আগে কয়েকটি বিষয় নিশ্চিত করতে হবে। যেমন সেই বিমান রাশিয়ার ভূখন্ড ‘স্পর্শ করবে না’। মাক্রোঁ সেই সঙ্গে যুদ্ধক্ষেত্রে উত্তেজনা আরও বাড়াতে চান না। পোল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী মাতেউশ মোরাভিয়েৎস্কি ন্যাটোর সঙ্গে সম্পূর্ণ সমন্বয়ের মাধ্যমে ইউক্রেনকে এফ-১৬ সরবরাহ করার পক্ষে সওয়াল করেছেন। ইউক্রেনের রাজনৈতিক ও সামরিক নেতারা বার বার বলছেন, হাতে সময় বড় কম। ব্যাটেল ট্যাংকের প্রতিশ্রুতি পেলেও যুদ্ধক্ষেত্রে সেগুলো কাজে লাগাতে কয়েক মাস সময় লেগে যাবে। জেলেনস্কি তাই আরও দ্রুত সামরিক সহায়তার আর্জি জানিয়েছেন। শীত কেটে গেলে আগামী কয়েক মাসের মধ্যে রাশিয়া ও ইউক্রেন আরও জোরালো সামরিক অভিযানের পরিকল্পনা করছে বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে। তার আগে যতটা সম্ভব সমরসজ্জা বাড়ানোর চেষ্টা চালাচ্ছে দুই পক্ষ।

সর্বশেষ খবর