বৃহস্পতিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা
ত্রিপুরা বিধানসভার ভোট আজ

লড়াই হতে পারে ত্রিমুখী

২০১৮ সালের নির্বাচনে ২৫ বছরের বাম শাসনের অবসান ঘটিয়ে ক্ষমতায় আসে বিজেপি

কলকাতা প্রতিনিধি

ভারতের ত্রিপুরা বিধানসভার ভোট আজ। এ রাজ্যের বিধানসভার ৬০টি আসনে ২৫৯ জন প্রার্থীর ভাগ্য নির্ধারণ করবেন ২৮ লাখের কিছু বেশি ভোটার। ভোট গ্রহণ শুরু হবে সকাল ৭টায়। চলবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত। ভোট গণনা হবে আগামী ২ মার্চ।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এই নির্বাচনে ত্রিমুখী লড়াই হতে পারে। ক্ষমতাসীন দল বিজেপি ও তাদের শরিক ইন্ডিজিনাস পিপল ফ্রন্ট অব ত্রিপুরা (আইপিএফটি), বাম-কংগ্রেস জোট ও তৃণমূল কংগ্রেস। এ ছাড়া কিছুটা লড়াইয়ে থাকতে পারে টিপ্রা মোথা পার্টিও। এর আগে ২০১৮ সালের বিধানসভা নির্বাচনে ত্রিপুরায় ২৫ বছরের বাম শাসনের অবসান ঘটিয়ে ক্ষমতায় আসে বিজেপি। সেবার তারা ৩৬টি আসনে জয় পায়। তাদের জোট শরিক দল আইপিএফটি জয় পায় ৮ আসনে। ১৬ আসনে জয় পায় সিপিআইএম। তবে বিজেপি ৩৬ আসনে জয় পেলেও ভোট পায় ৪৩.৫৯ শতাংশ। অন্যদিকে ক্ষমতা হারানো সিপিআইএম মাত্র ১৬ আসন পেলেও ভোট পায় ৪২.২২ শতাংশ। বিধানসভার ৬০টি আসনের মধ্যে বিজেপি প্রার্থী দিয়েছে ৫৫ আসনে। বাকি ৫ আসনে প্রার্থী দিয়েছে তাদের শরিক দল আইপিএফটি। সিপিআইএম ৪৩, কংগ্রেস ১৩, টিপ্রা মোথা ৪২, তৃণমূল কংগ্রেস ২৮ আসনে প্রার্থী দিয়েছে। এ ছাড়া সিপিআই, আরএসপি ও ফরওয়ার্ড ব্লক ১টি করে আসনে প্রার্থী দিয়েছে। ৫৮ আসনে লড়ছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। মঙ্গলবার বিকাল ৪টায় নির্বাচনী প্রচারণা শেষ হয়। প্রচারণায় ক্ষমতাসীন বিজেপি, বিরোধী সিপিআইএম, কংগ্রেস বা তৃণমূল কেউই মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে কাউকে সামনে রাখেনি। বিজেপির হয়ে প্রচারণায় অংশ নেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিসহ দলের শীর্ষ নেতারা। তৃণমূলের হয়ে প্রচারণা চালিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী ও দলটির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক ব্যানার্জি। সিপিআইমের হয়ে প্রচারণায় অংশ নিয়েছেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি, প্রকাশ কারাত। কংগ্রেসের হয়ে সাবেক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অধীর রঞ্জন চৌধুরী, দীপা দাস মুন্সিরা প্রচারণায় অংশ নিলেও দলের রাহুল গান্ধী বা প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে অংশ নিতে দেখা যায়নি। রাজ্যের উন্নয়ন, উন্নত অবকাঠামো, সামাজিক সুরক্ষা, নারীদের ক্ষমতায়ন বৃদ্ধি, পুরনো পেনশন প্রকল্পের বদলসহ একাধিক ইস্যু ছিল এবারের নির্বাচনী প্রচারণায় হাতিয়ার। প্রধান বিরোধী দল সিপিআইএম নেতা তথা সাবেক মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার এই নির্বাচনে লড়ছেন না। নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করতে সার্বিক প্রস্তুতি চূড়ান্ত বলে জানিয়েছেন রাজ্যটির প্রধান নির্বাচনী কর্মকর্তা গিত্যে কিরণকুমার দিনকররাও। আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি ভোট নেওয়া হবে মেঘালয় ও নাগাল্যান্ডে। চলতি বছরে আরও ছয় রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে- এগুলো হলো কর্ণাটক, ছত্রিশগড়, মধ্যপ্রদেশ, মিজোরাম, রাজস্থান, তেলেঙ্গানা। আগামী বছর ভারতে লোকসভা নির্বাচন। রাজ্যগুলোর বিধানসভা নির্বাচনে যে দল ভালো করবে তারাই দেশটির সাধারণ নির্বাচনেও মনস্তাত্ত্বিক দিক থেকে অনেকটা এগিয়ে থাকবে বলে মনে করা হচ্ছে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর