মার্কিন নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে পরাজয়ের পর নিজের সাবেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হাওয়ার্ড ইউনিভার্সিটিতে ভাষণ দেন কমলা হ্যারিস। ভাষণে নানা কথা বললেও নিজের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ সম্পর্কে তাৎক্ষণিক কোনো পরিকল্পনা ঘোষণা করেননি ৬০ বছর বয়সি কমলা। কমলা হ্যারিসের ভবিষ্যৎ কী হতে পারে?
২০২৮ সালের জন্য প্রস্তুতি : সাবেক ডেমোক্র্যাটিক এই প্রার্থীর সামনে সবচেয়ে সহজ বিকল্প হলো কিছুটা সময় নিয়ে ২০২৮ সালের আরেকটি নির্বাচনি প্রচারণার জন্য প্রস্তুতি নেওয়া। যেমন, ২০০৪ সালের প্রার্থী জন কেরি জর্জ বুশের কাছে পরাজিত হলেও রাজনীতির মঞ্চ থেকে পুরোপুরি হারিয়ে যাননি। তিনি বারাক ওবামার দ্বিতীয় মেয়াদে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
সিনেটে ফিরে যাওয়া : জন কেরির মতো রাজ্য রাজনীতিতে ফিরে গিয়ে আবারও সমর্থন গড়ে তোলা কমলা হ্যারিসের জন্য একটি বিকল্প হতে পারে। তবে এ পথটি তাঁর জন্য সহজ মনে হচ্ছে না। সান ফ্রান্সিসকোভিত্তিক রিপাবলিকান ভাষ্যকার রিচি গ্রিনবার্গ বলেন, কমলাকে হয়তো আগের মতো অর্থ সংগ্রহের সমর্থন পেতে সংগ্রাম করতে হবে।
ডেমোক্র্যাটিক পার্টিতে ভূমিকা : কমলা হ্যারিসের জন্য একটি সম্ভাব্য পথ হতে পারে ডেমোক্র্যাটিক পার্টির একজন মুখপাত্র হিসেবে কাজ করা। কারণ তার নামের ব্যাপক পরিচিতি এবং সংযোগ রয়েছে। তবে গ্রিনবার্গ মনে করেন, আর্থিক সহায়তা পুনরুজ্জীবিত করতে কমলা চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হবেন।
বই লেখা : আগের অন্তত দুজন ডেমোক্র্যাটিক প্রার্থীহিলারি ক্লিনটন ও আল গোর প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে পরাজিত হন। এরপর তাঁরা লেখালেখি ও অন্যান্য কাজে নিজেকে ব্যস্ত রাখার সিদ্ধান্ত নেন। সেই একই পথে হাঁটতে পারেন কমলা হ্যারিসও। -এনডিটিভি