আমেরিকার নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পরামর্শকরা স্বীকার করেছেন, ইউক্রেন যুদ্ধের সমাধান কয়েক মাস বা আরও বেশি সময় লাগতে পারে। অর্থাৎ সহসাই ইউক্রেন সংকটের সমাধান হচ্ছে না। প্রেসিডেন্ট হিসেবে ট্রাম্প দায়িত্ব নেওয়ার প্রথম দিনেই শান্তি চুক্তির প্রতিশ্রুতি পূরণ সম্ভব নয় বলে তারা মনে করছেন। বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে। এ ইস্যুতে ট্রাম্পের সঙ্গে আলোচনা করা তার দুই সহযোগী বলেছেন, সমস্যাটি জটিল এবং সমাধানে সময় লাগবে। নির্বাচনি প্রচারণার সময় দেওয়া প্রতিশ্রুতিগুলো বাস্তবতার তুলনায় অতিরঞ্জিত ছিল। ট্রাম্পের রাশিয়া-ইউক্রেন বিষয়ক বিশেষ দূত অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল কিথ কেলগ জানান, তিনি ১০০ দিনের মধ্যে একটি সমাধান চান। তবে এটি খুববেশি আশাবাদী সময়সীমা বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। রয়টার্স
সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূত জন হার্বস্ট বলেছেন, পুতিনকে বাধ্য করতে হবে যাতে তিনি তার কঠোর অবস্থান ছাড়েন। ট্রাম্পের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন কঠিন হতে পারে। নির্বাচনি প্রচারণায় ট্রাম্প প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, প্রথম দিনেই রাশিয়া-ইউক্রেন সংকট সমাধান করবেন। কিন্তু নির্বাচনের পর তিনি এই প্রতিশ্রুতি ধীরে ধীরে পরিবর্তন করেছেন। ট্রাম্প স্বীকার করেছেন, ইউক্রেন সংকট গাজা যুদ্ধবিরতির চেয়ে কঠিন। তিনি বলেছেন, রাশিয়া-ইউক্রেন সমস্যা আরও জটিল। রাশিয়া সম্ভাব্য শান্তি চুক্তি নিয়ে মিশ্র সংকেত দিচ্ছে। তবে, ট্রাম্পের উপদেষ্টাদের পরিকল্পনাগুলোকে কার্যকর নয় বলে অভিহিত করেছে মস্কো। ট্রাম্প প্রশাসনের কর্মকর্তারা এখনো কূটনৈতিক কাঠামো গড়ে তুলতে কাজ করছেন। তবে যুদ্ধক্ষেত্রের বাস্তবতা এবং কূটনৈতিক জটিলতা তাদের প্রচেষ্টায় বাধা সৃষ্টি করছে। রয়টার্স