ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর টানা হামলায় এক দিনেই কমপক্ষে আরও ৩৯ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অন্তত আরও ৫০ জন। ফলে চলমান সংঘাতে গাজায় মোট নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫১ হাজার ২৫০ জনে। এ তথ্য জানিয়েছে তুরস্কভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আনাদোলু এজেন্সি। গত ১৮ মার্চ থেকে গাজায় ইসরায়েল নতুন করে হামলা শুরু করে। এরপর থেকে এ পর্যন্ত ১ হাজার ৮৫০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। অব্যাহত হামলার পাশাপাশি গাজায় ইসরায়েলের কঠোর অবরোধের কারণে গত ৫০ দিনেরও বেশি সময় ধরে কোনো ত্রাণবাহী গাড়ি উপত্যকায় প্রবেশ করতে পারেনি। ফলে খাবার, বিশুদ্ধ পানি, ওষুধ এবং জ্বালানির মারাত্মক সংকট তৈরি হয়েছে। গাজার পরিস্থিতি নিয়ে বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) জরুরি ভিত্তিতে খাদ্য সরবরাহ চালুর আহ্বান জানিয়েছে। তবে সংকটময় এই পরিস্থিতির মধ্যেও ইসরায়েলি বিমান হামলা অব্যাহত রয়েছে। আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হাসপাতালগুলো ধ্বংস হয়ে যাওয়ায় ওষুধের মারাত্মক অভাবে আহতদের চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। -আলজাজিরা
গত ২ মার্চ নতুন করে অবরোধ আরোপের পর থেকে গাজায় কোনো ধরনের চিকিৎসা সামগ্রী প্রবেশ করতে পারেনি। এতে অসংখ্য ফিলিস্তিনি বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুবরণ করছেন। এই মানবিক বিপর্যয়ের প্রেক্ষাপটে ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য জাতিসংঘের সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ আবারও অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছে। সংস্থাটি জানিয়েছে, গাজার বাসিন্দাদের অধিকাংশই নারী, শিশু এবং নিরীহ বেসামরিক মানুষ, যারা বর্তমানে ‘অকল্পনীয় ভোগান্তির’ মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। ইউএনআরডব্লিউএ-এর মতে, ফিলিস্তিনিদের ওপর এভাবে সমন্বিতভাবে শাস্তি আরোপ করা কোনোভাবেই ন্যায্য নয়।