গাজা উপত্যকায় সামরিক অভিযান নিয়ে চাপে পড়েছে ইসরায়েল। এমন পরিস্থিতিতে বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সরকারকে কিছুটা নমনীয় হতেও দেখা গেছে। এ পরিবর্তনের পেছনে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের চাপ। গত সপ্তাহে পারস্য উপসাগরীয় তিনটি দেশে সফরে যান ট্রাম্প। সফরে তিনি সৌদি আরব, কাতার ও সংযুক্ত আরব আমিরাতে গেলেও ইসরায়েলকে সফর থেকে বাদ দেন। সফরকালে ট্রাম্প বলেন, গাজায় বহু মানুষ অনাহারে দিন কাটাচ্ছে। ট্রাম্পের এই কথা ছিল ইসরায়েলের জন্য একটি শক্ত বার্তা। -ওয়াশিংটন পোস্ট
আলোচনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একজন, বলেন, ট্রাম্পের প্রতিনিধিরা ইসরায়েলকে জানিয়ে দিয়েছেন- তারা যদি এই যুদ্ধ বন্ধ না করে, তাহলে যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলের পাশে থাকবে না। খবর ওয়াশিংটন পোস্টের।
এদিকে সোমবার এক ভিডিওবার্তায় নেতানিয়াহু বলেন, গাজায় সম্ভাব্য দুর্ভিক্ষ একটি রেড লাইন। এই সীমানা পার হলে ইসরায়েল যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন হারাতে পারে। ইসরায়েল ২ মার্চ থেকে গাজায় সহায়তা প্রবেশ সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করে রেখেছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত ওই ভিডিওতে নেতানিয়াহু বলেন, যদিও ইসরায়েল গাজা অঞ্চলের পুরো নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার জন্য ব্যাপক সামরিক শক্তি প্রয়োগ করছে, তবুও বাস্তবিক ও কূটনৈতিক কারণে তারা গাজায় এমন এক দুর্ভিক্ষ সৃষ্টি করবে না যা সেখানকার লোকজনকে প্রাণহানি বা মারাত্মক ক্ষুধার্ত অবস্থার দিকে নিয়ে যাবে। এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র যুক্তরাজ্য, কানাডা ও ফ্রান্স ইসরায়েলের সামরিক অভিযান জোরালো করার সমালোচনা করে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছে। এসব দেশ জানায়, ইসরায়েল যদি হামলা বন্ধ না করে এবং গাজায় মানবিক সহায়তা পাঠানোর ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা না তোলে, তাহলে তারা কঠোর পদক্ষেপ নেবে।