গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় বিরাট পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিয়েছে যুক্তরাজ্য সরকার। আগামী নির্বাচনে ১৬ এবং ১৭ বছর বয়সিদের ভোট দেওয়ার অধিকার নিশ্চিত করার পরিকল্পনা নিয়েছে দেশটি। এ পরিবর্তন গণতন্ত্রের প্রতি জনসাধারণের আস্থা বৃদ্ধি করবে বলে মনে করছে কর্তৃপক্ষ। স্কটল্যান্ড এবং ওয়েলসে তরুণ ভোটারদের ক্ষেত্রে এমন নীতি বাস্তবায়নের পর সে পথেই হাঁটতে চাচ্ছে যুক্তরাজ্যের বর্তমান ক্ষমতাসীন দল লেবার পার্টি। তারা মনে করে, এর মাধ্যমে ভোট দেওয়ার অধিকারে সামঞ্জস্য তৈরি হবে। এক সাক্ষাৎকারে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার বলেছেন, কাজে যোগ দেওয়ার জন্য তাদের (তরুণদের) বয়সটা যথেষ্ট। কর দেওয়ার জন্যও তাদের যথেষ্ট বয়স হয়েছে। আমার মনে হয় আপনি অর্থ ব্যয় করলে তা কোন খাতে ব্যয় হচ্ছে সেটা বলার সুযোগ থাকা উচিত। এ ছাড়া সরকারের কোন পথে যাওয়া উচিত সে বিষয়েও মতামত দিতে পারবেন তারা। ভোটাধিকারে এ পরিবর্তন আনতে পার্লামেন্টের অনুমোদনের প্রয়োজন। -বিবিসি ও সিএনএন
তবে পার্লামেন্টে এ আইন পাস হওয়ার পথে তেমন বাধা থাকবে বলে মনে হয় না। কেননা গত বছর নির্বাচনি প্রচারে তরুণদের ভোটাধিকার দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েই পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে লেবার পার্টি। রাষ্ট্র ক্ষমতায় বসার পর থেকে কিয়ার স্টারমারের জনপ্রিয়তায় ভাটা লেগেছে। দেশটির চলমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতি মোকাবিলায় তার সরকার ধারাবাহিকভাবে ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে যাচ্ছে। বেশিরভাগ জনমত জরিপে তার দল নাইজেল ফ্যারাজের ডানপন্থি রিফর্ম ইউকে পার্টির পরের স্থানে রয়েছে। তবে ১৬-১৭ বছর তরুণ ভোটারদের নিয়ে করা জরিপে লেবার পার্টির অবস্থান খুব ভালো। এ জরিপটি করেছে মার্লিন স্ট্র্যাটেজি নামের একটি প্রতিষ্ঠান। যেখানে প্রায় ৫০০ তরুণ অংশ নেন। -বিবিসি ও সিএনএন