পাকিস্তানের উত্তরাঞ্চলীয় গিলগিট-বালতিস্তানের দিয়ামির জেলায় প্রবল বর্ষণের ফলে সৃষ্ট হঠাৎ বন্যায় অন্তত চার পর্যটক নিহত হয়েছেন। সোমবারের এ ঘটনায় আরও দুজন আহত হন এবং ১৫ জন নিখোঁজ রয়েছেন বলে জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। গিলগিট-বালতিস্তান সরকারের মুখপাত্র ফয়জুল্লাহ ফারাক জানিয়েছেন, থাখ এলাকায় অন্তত আটটি পর্যটকবাহী যানবাহন বন্যার পানিতে ভেসে গেছে। এখন পর্যন্ত চারটি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে, যার মধ্যে একজন পাঞ্জাবের লোধরান জেলার নারী পর্যটকও রয়েছেন। আহত ও নিহতদের স্থানীয় হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। তিনি জানান, আকস্মিক এই বন্যা বাবুসার মহাসড়ক বন্ধ করে দিয়েছে। বিদ্যুৎ ও যোগাযোগব্যবস্থা বিপর্যস্ত হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা অনেক পর্যটককে আশ্রয় দিয়েছেন এবং শত শত মানুষকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। দিয়ামিরের জ্যেষ্ঠ পুলিশ কর্মকর্তা আবদুল হামিদ বলেন, সাত কিলোমিটারজুড়ে ছড়িয়ে পড়া এই প্রবল বন্যা অন্তত তিনটি গাড়ি সম্পূর্ণভাবে ভাসিয়ে নিয়েছে। তার মতে, দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা ২০ থেকে ৩০ জন পর্যটক নিখোঁজ থাকতে পারেন। -ডন
তবে টানা কাদামাটির প্রবাহ উদ্ধারকাজ ব্যাহত করছে। এই বন্যায় কারাকোরাম মহাসড়কের একটি অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় হাজার হাজার পর্যটক ও যাত্রী উভয় পাশে আটকে পড়েছেন। গিলগিট-বালতিস্তানের মুখ্যমন্ত্রী সব ধরনের সম্পদ ব্যবহার করে উদ্ধার ও সহায়তার নির্দেশ দিয়েছেন। অন্যদিকে ঘিজার জেলার কানচে ও সালপি গ্রামে মেঘভাঙা বৃষ্টিতে সৃষ্ট বন্যা ঘরবাড়ি, কৃষিজমি, ফসল ও অবকাঠামোর ব্যাপক ক্ষতি করেছে। ইয়াসিনের থুই এলাকায় শনিবার রাতের স্বল্প সময়ের বৃষ্টিতে ভয়াবহ বন্যা হয়। এতে একটি বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ ছয়টি বাড়ি সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গেছে। বন্যায় গম খেত, এপ্রিকট ও চেরিবাগানও ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো জরুরি সহায়তার আহ্বান জানিয়েছে।