সম্প্রতি ইন্দোনেশিয়ায় একটি স্কুলের ভবন ধসের ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে অন্তত ৫৪ জনে দাঁড়িয়েছে বলে গতকাল উদ্ধারকর্মীরা জানিয়েছেন। দেশটির চলতি বছরের সবচেয়ে ভয়াবহ এই দুর্ঘটনায় ধ্বংসস্তূপের প্রায় সবটাই ইতোমধ্যে সরিয়ে ফেলা হয়েছে।
পূর্ব জাভা প্রদেশের সিদোয়ারজো শহরে আল খোজিনি ইসলামিক বোর্ডিং স্কুলটি ধসে শতাধিক কিশোর ছাত্রের ওপর কংক্রিটের স্তূপ ভেঙে পড়ে, তাদের অনেকেই ঘটনাস্থলেই আটকে থেকে প্রাণ হারায়। উদ্ধার সংস্থা জানায়, রবিবার রাত পর্যন্ত ভারী যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে ধ্বংসস্তূপের প্রায় ৮০ শতাংশ পরিষ্কার করা হয়েছে এবং সেখান থেকে নিহত কিশোরদের লাশ ও দেহাবশেষ উদ্ধার করা হয়েছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থার উপপ্রধান বুদি ইরাওয়ান জানান, এ পর্যন্ত ৫৪ জনের মৃত্যু নিশ্চিত করা গেছে এবং আরও ১৩ জন নিখোঁজের সন্ধানের মধ্যে অভিযান শেষ করার আশা করা হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘এ বছর একক কোনো ভবন ধসে এত বেশি প্রাণহানি হয়নি। প্রাকৃতিক হোক বা না হোক, ২০২৫ সালের অন্য যে কোনো দুর্ঘটনার তুলনায় সিদোয়ারজোতেই সবচেয়ে বেশি মানুষ মারা গেছেন।’ উদ্ধার সংস্থার কর্মকর্তা ইউধি ব্রামানতিয়ো জানান, পাঁচটি লাশও উদ্ধার করা হয়েছে, যা ইঙ্গিত দেয় যে নিহতের সংখ্যা অন্তত ৫৪-এ পৌঁছাতে পারে।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ভবন ধসের কারণ ছিল ওপরের তলায় নির্মাণকাজ, যা স্কুলের মূল ভিত্তি সহ্য করতে পারেনি। ইন্দোনেশিয়া জুড়ে প্রায় ৪২,০০০টি ইসলামিক স্কুল ভবন রয়েছে, যেগুলোকে স্থানীয়ভাবে ‘পেসানত্রেন’ বলা হয়। এর মধ্যে মাত্র ৫০টির নির্মাণের বৈধ অনুমতি আছে বলে দেশটির জনকল্যাণ মন্ত্রী দোদি হাঙ্গগোদো রবিবার স্থানীয় গণমাধ্যমকে জানান। আল খোজিনি স্কুলটির অনুমতি ছিল কি না তা এখনো পরিষ্কার নয়। মন্তব্যের জন্য স্কুল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে অবিলম্বে যোগাযোগ করা যায়নি।-রয়টার্স