পাঁচ দিনের এশিয়া সফরের পরবর্তী ধাপে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গতকাল জাপানে পৌঁছেছেন। এশিয়া সফরে বৃহস্পতিবার চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিন পিংয়ের সঙ্গে ট্রাম্পের বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। তাদের এ বহুপ্রত্যাশিত বৈঠকের মাধ্যমে বিশ্বের দুই বৃহৎ অর্থনীতির মধ্যে চলমান কঠোর বাণিজ্য যুদ্ধের অবসান ঘটতে পারে।
এয়ার ফোর্স ওয়ানে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় ট্রাম্প জানান, বৃহস্পতিবার শির সঙ্গে বৈঠক নিয়ে তিনি আশাবাদী। একই সঙ্গে তিনি আরও ইঙ্গিত দেন, উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের সঙ্গে দেখা করার জন্য তিনি তার সফর দীর্ঘায়িত করতে ইচ্ছুক।
মালয়েশিয়া থেকে জাপানের পথে ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট শির প্রতি আমার অনেক শ্রদ্ধা আছে এবং আমি মনে করি আমরা... একটি চুক্তি নিয়ে ফিরতে যাচ্ছি।’
মালয়েশিয়ায় মার্কিন এবং চীনা আলোচকদের মন্তব্য একটি চুক্তির আশা জাগিয়েছিল।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও ও অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্টসহ মার্কিন প্রেসিডেন্টের বিমানটি সূর্যাস্তের সময় হানেদা বিমানবন্দরে অবতরণ করে। এ সময় বহু লোক ছবি তোলার জন্য জড়ো হন। একটি সোনালি রঙের টাই পরা অবস্থায় ট্রাম্প এরপর হেলিকপ্টারে চড়ে জাপানের আলোকিত মহানগরীতে রওনা হন এবং সন্ধ্যায় সম্রাটের সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য সময়মতো পৌঁছান।
জাপান সফরের দ্বিতীয় দিন মঙ্গলবার দেশটির নতুন প্রধানমন্ত্রী সানায়ে তাকাইচির সঙ্গে ট্রাম্পের দেখা করার কথা রয়েছে। একই দিন মার্কিন নৌঘাঁটি ইয়োকোসুকায় ডক করা ইউএসএস জর্জ ওয়াশিংটন বিমানবাহী রণতরীতে ভাষণ দেওয়ার কথা রয়েছে।
নতুন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ প্রসঙ্গে প্রয়াত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের প্রসঙ্গে বলেন, ‘আমি দারুণ সব খবর শুনছি। (তাকাইচি) শিনজো আবের একজন দুর্দান্ত মিত্র ও বন্ধু ছিলেন, যিনি আমারও বন্ধু।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমি মনে করি এটি জাপান ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র উভয়ের জন্য খুব সহায়ক হবে, আমার মনে হয় তিনি অসাধারণ হবেন।’