লেখক : খতিব, সমিতি বাজার মসজিদ, নাখালপাড়া, ঢাকা।
শিরোনাম
- রিমান্ড শেষে কারাগারে সাবেক স্বরাষ্ট্র সচিব জাহাংগীর
- জিম্বাবুয়েকে উড়িয়ে ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে বাংলাদেশ
- মার্কিন শুল্কহার কমিয়ে আনা রপ্তানি খাতের জন্য সন্তোষজনক : আমীর খসরু
- ‘ষড়যন্ত্রমূলক’ বৈঠকের তদন্ত চলছে : ডিএমপি
- আওয়ামী ক্যাডারদের প্রশিক্ষণ দেওয়া কে এই মেজর সাদিক?
- বন্ধু নির্বাচনে সতর্ক থাকা উচিত: তাসকিন
- সমাবেশ ঘিরে নেতাকর্মীদের উদ্দেশে ছাত্রদলের ৬ নির্দেশনা
- জুলাই বৈষম্যের বিরুদ্ধে তীব্র এক বিস্ফোরণ : ফারুকী
- বেনজীরের ডক্টরেট ডিগ্রি স্থগিত করল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
- প্রতিযোগীদের তুলনায় শুল্কহার কমায় স্বস্তিতে বাংলাদেশ : বিজিএমইএ সভাপতি
- ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে রহস্যময় পোস্ট, রাজনীতিতে নামছেন সালমান?
- ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হওয়ার পথে কোনো বাধা দেখছি না : নজরুল ইসলাম
- ডেঙ্গুতে নতুন করে হাসপাতালে ভর্তি ১৩৮
- পূর্ব শত্রুতার জেরে রাজধানীতে বৃদ্ধা নারীকে পিটিয়ে হত্যা
- এনবিআর-বিআইডব্লিউটিএ’র টানাপোড়েন থাকবে না : নৌ উপদেষ্টা
- বিশ্বের রহস্যময় দেশ তুর্কমিনিস্তান খুলছে পর্যটকদের জন্য দ্বার
- সারাদেশে পুলিশের অভিযানে অস্ত্রসহ গ্রেফতার ১২৬১
- হেফাজতে ইসলামের সঙ্গে বিএনপির সৌজন্য সাক্ষাৎ
- ভারতীয় ফুটবলের নতুন কোচ খালিদ
- কলকাতায় ৮ দিনের রিমান্ডে বাংলাদেশি মডেল শান্তা
মুমিনের অন্তরে আশা ও ভয়ের সমন্বয় থাকবে
মুফতি মুহাম্মদ আল আমিন
Not defined
অনলাইন ভার্সন
চাকচিক্যময় দুনিয়ার চোখ ধাঁধানো জৌলুসে আমরা বিমোহিত। তার নিত্যনতুন পরিবর্তনশীল রূপ-সৌন্দর্যে মুগ্ধ। আমাদের খেয়াল নেই যে, পৃথিবী ক্ষণস্থায়ী। আখেরাত চিরস্থায়ী। আজকের বাড়ি আমার আসল বাড়ি নয়। এ জগৎ সংসার আমার আসল ঠিকানা নয়। যেদিন চোখ দুটো চিরদিনের জন্য বন্ধ হবে সেদিন খালি হাতে যেতে হবে মাটির পিঠ থেকে মাটির বুকে। কবরের বুকে গেলে আমাদের জানা নেই যে, কার সঙ্গে কি আচরণ করা হবে। কারে মাফ করে দেওয়া হবে, আর কাকে শাস্তি দেওয়া হবে। তাই আল্লাহর দরবারে সব সময় ক্ষমার আশা রাখতে হবে। সঙ্গে সঙ্গে শাস্তি ও ভয় রাখতে হবে। হজরত আনাস (রাজিঃ) থেকে বর্ণিত। নবী করিম (সা.) এক যুবকের কাছে গেলেন, যখন সে মৃত্যুর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যাচ্ছিল। তিনি জিজ্ঞাসা করলেন : তুমি নিজেকে কি অবস্থায় মনে করছ? সে উত্তর দিল, ইয়া রসুলুল্লাহ! আমি আল্লাহর রহমতের আশা করছি, আবার নিজের গুনাহের জন্য ভয়ও পাচ্ছি। রসুল (সা.) বললেন, এমন মুহূর্তে যার অন্তরে এ দুটি জিনিস একত্রিত হয় তাকে আল্লাহ আশার বস্তুটি দান করে থাকেন আর যে জিনিসটি থেকে সে ভয় পায় সে জিনিস থেকে আল্লাহ তাকে নিরাপদ করে দেন (তিরমিযী)। প্রকৃতপক্ষে যারা আখেরাতের প্রস্তুতি গ্রহণে যারা ব্যস্ত তারাই বুদ্ধিমান। হজরত শাদ্দাদ ইবনে আউস (রাজিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসুল (সা.) বলেছেন— বুদ্ধিমান সেই ব্যক্তি, যে নিজের প্রবৃত্তিকে অনুগত রাখে এবং মৃত্যু-পরবর্তী সময়ের জন্য কাজ করে যায়। আর নির্বোধ সেই ব্যক্তি, যে কুপ্রবৃত্তির অনুসরণ করে এবং আল্লাহর কাছে (মুক্তির) আশা করে বসে থাকে (তিরমিযী)। আখিরাতের সময়ের তুলনায় দুনিয়ার সময়টা একেবারেই ক্ষুদ্র। হজরত মুসতাওরিদ ইবনে শাদ্দাদ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রসুল (সা.)-কে বলতে শুনেছি— আল্লাহর কসম! আখেরাতের তুলনায় দুনিয়ার উদাহরণ কেবল এতটুকুই যে, তোমাদের কেউ সমুদ্রে তার আঙ্গুলটি চুবিয়ে নিল। এবার সে দেখুক, এ আঙ্গুল কতটুকু পানি নিয়ে এসেছে (মুসলিম)। অর্থাৎ যতটুকু পানি হাতে লেগেছে তা হলো দুনিয়ার জীবন। আর যে পানি সমুদ্রে রয়েছে তা হলো আখেরাতের জীবন। এ জন্য রসুল (সা.) সব সময় বলতেন, দুনিয়ায় নিজেকে পথচারী বা মুসাফির মনে করবে। অর্থাৎ ক্ষণস্থায়ী পৃথিবীর প্রতি নিরাসক্ত থাকতে হবে। দুনিয়ার মোহে, লোভ-লালসায় মত্ত হওয়া যাবে না। এ বিষয়ে হজরত আবদুল্লাহ ইবনে উমর (রাজিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসুল (সা.) আমার কাঁধে হাত রেখে বললেন— দুনিয়াতে এমনভাবে থাক যে, তুমি একজন প্রবাসী মুসাফির অথবা একজন পথচারী (বুখারি)। এ দুনিয়ার কোনো মূল্য আল্লাহর দরবারে নেই। আল্লাহর কাছে দুনিয়ার মূল্য মশার ডানার মতোও নয়। হজরত সাহল ইবনে সা’দ (রাজিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসুল (সা.) বলেন, যদি দুনিয়া আল্লাহর কাছে মশার ডানার সমানও মূল্যবান হতো তাহলে কোনো কাফিরকে এ থেকে এক চুমুক পানিও পান করতে দিতেন না (আহমদ, তিরমিযী)। কারণ প্রিয় জিনিস কেউ তার শত্রুদের দেয় না। মহান আল্লাহর কাছে দুনিয়ার কোনো মূল্য নেই বিধায় এর টাকা-পয়সা, ধন-দৌলত, স্বর্ণ-রুপাসহ সব সম্পদ মুসলমান-অমুসলিম সবাইকে দান করেন। ইমান-আমল যেহেতু মূল্যবান তাই তা শুধু আল্লাহর প্রিয় বান্দাদের দান করেন।
এই বিভাগের আরও খবর