ভোরের আলো ফুটতেই ক্রসফায়ারে নিহত হয়েছেন হায়দ্রাবাদ গণধর্ষণ কাণ্ডে চার অভিযুক্ত। মুহূর্তের মধ্যেই সে খবর ছড়িয়ে পড়ে গোটা ভারতে।
দিনভর এই ঘটনা নিয়ে চলে নানা টানাপোড়েন। কেউ সমর্থন করেছেন আবার বিরোধীতাও করেছেন অনেকেই। ঠিক কেন 'গুলি চালাতে বাধ্য হলো পুলিশ' দিনভর টানাপোড়েনের পর তা স্পষ্ট করেন সাইদরাবাদের পুলিশ কমিশনার ভিসি সাজ্জানর।
পুলিশ কমিশনার বলেন, 'মোট ১০ জন পুলিশ সদস্য তাদের সঙ্গে নিয়ে ঘটনাস্থলে যান। চারজনের মধ্যে দু'জন পুলিশের আগ্নেয়াস্ত্র ছিনতাই করে। পুলিশের উপর পাথর এবং লোহার রড নিয়ে আক্রমণ করে। অভিযুক্তদের আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়। কিন্তু তারা তা করতে রাজি হয়নি। তাই বাধ্য হয়ে আত্মরক্ষার তাগিদে গুলি চালায় পুলিশ। তাতেই চারজন নিহত হন।'
তবে পুলিশ যাই বলুক না কেন এনকাউন্টারে মৃত্যুর সংবাদ চারিদিকে ছড়িয়ে পড়তেই ভারতজুড়ে শুরু হয় খুশির বন্যা। শুক্রবার দুপুরে পুলিশের নামে জয়ধ্বনি দেয় পশ্চিমবঙ্গের বাঁকুড়া সম্মিলনী কলেজের ছাত্র-ছাত্রীরা। এই খুশিতে এদিন মিষ্টিমুখ করে তেলেঙ্গানা পুলিশকে ধন্যবাদ জানায় কলেজ শিক্ষার্থীরা। আর তাতে সামিল হয় শিক্ষক-শিক্ষিকারাও। ছাত্র-ছাত্রীদের নানা রকম স্লোগান দিতে দেখা যায়।
তবে ক্রসফায়ার নিয়ে পুলিশের ভূমিকায় প্রশ্ন তুলেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। তার ইঙ্গিত ছিল ক্রসফায়ার না হয়ে আইনের পথেই হায়দ্রাবাদের অভিযুক্তদের শাস্তি হলে ভালো হতো।
বিকালে কলকাতার মেয়ো রোডে সংহতি দিবসের সভায় যোগ দিয়ে তিনি স্পষ্টই বললেন, এর বিচারের জন্য আইনকে আরও কড়া হতে হবে। দ্রুত আদালতে চার্জশিট পেশ করে আইনের মাধ্যমে কঠোর শাস্তি দিতে হবে।
উল্লেখ্য, গত ২৭ নভেম্বর পরিকল্পনামাফিক ধর্ষণ এবং প্রমাণ লোপাটে মরদেহ পুড়িয়ে দেয়া হয় তরুণী চিকিৎসক প্রিয়াঙ্কা রেড্ডিকে। এরপর মরদেহ উদ্ধারের পরপরই ঘটনায় জড়িত অভিযুক্ত মোহাম্মদ আরিফ, জল্লু শিবা, জল্লু নবীন এবং চিন্তাকুন্টা চেন্নাকেশাভুলু নামে ওই চার ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়। আদালতের নির্দেশে জেল হেফাজতে ছিল তারা। এরপর ভারতজুড়ে অপরাধীদের ফাঁসির দাবিতে সরব হয়েছিল।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত