রবিবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০১৩ ০০:০০ টা
আনন্দবাজার পত্রিকা

বাংলাদেশ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে ভারতের চাপ

বাংলাদেশে অগি্নগর্ভ পরিস্থিতি সমাধানে ভূমিকা নিতে যুক্তরাষ্ট্রের ওপর চাপ তৈরি করেছে ভারত। বাংলাদেশ নিয়ে হোয়াইট হাউসের অবস্থানে হতাশ ভারত। পরিস্থিতির গুরুত্ব বিচার করে, কোনো আড়াল না রেখেই সেই হতাশার কথা যুক্তরাষ্ট্রকে জানানো হয়েছে। ভারতের পররাষ্ট্র সচিব সুজাতা সিং তার সদ্য সমাপ্ত মার্কিন সফরে সে দেশের পররাষ্ট্র সচিব ওয়েন্ডি শেরম্যানের সঙ্গে ঢাকার পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেছেন। সাউথ ব্লক মার্কিন নেতৃত্বকে স্পষ্ট জানিয়েছে, গোটা দক্ষিণ এশিয়ার নিরাপত্তার প্রশ্নে পশ্চিমা বিশ্বের উচিত বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক এবং সহিংসতামুক্ত পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে সহায়তা করা। কিন্তু এ ব্যাপারে এখনো সক্রিয় সহযোগিতার পদক্ষেপ যুক্তরাষ্ট্র নেয়নি বলেই মনে করছে ভারত।

ভারতের সরকারি সূত্রের দাবি, যুক্তরাষ্ট্র মনে করে বাংলাদেশে জামায়াতে ইসলামী জঙ্গিবাদের সমর্থক নয়। তাই রাজনৈতিক পরিসরে তাদের জায়গা দিলে, মৌলবাদী তালেবানপন্থিদের সঙ্গে লড়াইয়ে লাভই হবে। এ জন্য হোয়াইট হাউস থেকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে ফোনও করা হয়েছে। তাকে বারবার অনুরোধ করা হয়েছে, বিএনপির কথা মেনে পদত্যাগ করে, সরকার ভেঙে দিয়ে নির্বাচনে যাওয়ার জন্য।

নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ঘিরে বিতর্কের সময় থেকেই যুক্তরাষ্ট্রের বিরাগভাজন হাসিনার আওয়ামী লীগ। মার্কিনিরা মনে করে, বিএনপি তাদের নীতির প্রতি অনেকটাই বিশ্বস্ত। তারা ক্ষমতায় এলে বাংলাদেশের বাজারে ঢোকা মার্কিনিদের পক্ষে সহজ হবে। রণকৌশলগত প্রশ্নেও বিএনপি জোটই এই মুহূর্তে তাই যুক্তরাষ্ট্রের কাম্য।

কিন্তু জামায়াতের হিংসাত্মক কাজের জন্য দেশের পরিস্থিতি যে ক্রমেই হাতের বাইরে চলে যাচ্ছে, সে কথাই আলোচনার মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রকে বোঝানোর চেষ্টা করছে নয়াদিল্লি।

শুক্রবার ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সৈয়দ আকবরুদ্দিন জানান, বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কথা হয়েছে। বৈঠকে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক রাজনীতিকে দেখা হয়েছে।

এদিকে যুদ্ধাপরাধের দায়ে জামায়াত নেতা কাদের মোল্লার ফাঁসি নিয়ে উত্তাল বাংলাদেশ। তাই সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে আশঙ্কায় রয়েছে ভারত। সেজন্য দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র বলেন, 'আমরা এ কথা বিশ্বাস করি যে একটি গণতান্ত্রিক দেশের মানুষ হিসেবে বাংলাদেশি রাজনীতিকরা তাদের মতপার্থক্য আলোচনার মাধ্যমেই মেটাবেন।'

 

 

সর্বশেষ খবর