রবিবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০১৩ ০০:০০ টা

এরশাদের দেনা পৌনে তিন কোটি টাকা

এরশাদের দেনা পৌনে তিন কোটি টাকা

ব্যাংকের কাছে পৌনে ৩ কোটি টাকার দায় থাকা জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ শুধু শেয়ার থেকেই আয় করেন কোটি টাকা। অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কোনো দায়-দেনা নেই। মনোনয়নপত্রের সঙ্গে দেওয়া হলফনামায় এ তথ্যের উল্লেখ রয়েছে। জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এরশাদ ঢাকা-১৭ আসনসহ তিনটি আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। হলফনামায় রয়েছে- এরশাদের নগদ টাকা মাত্র ১ কোটি ২৬ লাখ টাকা। তার বন্ড, ঋণপত্র, শেয়ার রয়েছে ৪০ কোটি টাকার মতো। সঞ্চয়পত্রে স্থায়ী আমানত সাড়ে ৭ কোটি টাকা। বাস, ট্রাকের ব্যবসা রয়েছে সোয়া কোটি টাকার। নিজের নামে কৃষি জমি না থাকলেও দালান-অ্যাপার্টমেন্ট দেড় কোটি টাকার মতো। ব্যাংকের কাছে তার দায় পৌনে তিন কোটি টাকা। এরশাদের শেয়ার-সঞ্চয়পত্র থেকে আয় দেখানো হয়েছে ৯১ লাখ টাকা। চাকরি থেকে বছরে ১৪ লাখ ও ব্যবসা থেকে বছরে মাত্র ৬২ হাজার টাকা তার আয় আসে। রংপুর-৬ আসনসহ তিনটি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নগদ টাকা রয়েছে মাত্র ৪ লাখ ৯৮ হাজার টাকা। ব্যাংকে ১ কোটি টাকার বেশি জমা রয়েছে। স্বর্ণালঙ্কার রয়েছে ১৩ লাখ টাকা মূল্যের। আর সঞ্চয়পত্রে স্থায়ী আমানত ৫ কোটি টাকা প্রায়।এতে আরও উল্লেখ রয়েছে, শেখ হাসিনার নিজের নামে ৬ একর কৃষি জমি রয়েছে। যৌথ মালিকানায় রয়েছে আরও ৬ একর। কৃষিখাতে তার বার্ষিক আয় ৭৫ হাজার টাকা। বাড়ি ভাড়া থেকে ১ লাখ ৩৮ হাজার টাকার মতো আয় আসে বঙ্গবন্ধু কন্যার। মৎস্য খামারের ব্যবসা থেকে আসে সাড়ে চার লাখ। শেয়ার, সঞ্চয়পত্র ও ব্যাংক আমানত থেকে বছরে আয় হয় সাড়ে ৪৬ লাখ টাকা। গাছ বিক্রি করে বছরে পান ১০ লাখ টাকা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএ পাস এই নেতার ধানমন্ডির সুধাসদনকে হলফনামায় দেখানো হয়েছে ঠিকানা হিসাবে। তার কোনো দায়-দেনা নেই। গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ অনুযায়ী, হলফনামায় সাতটি ব্যক্তিগত তথ্য দিতে হয়। নবম সংসদ থেকে তা জমা দেওয়ার বাধ্যবাধকতা শুরু হয়। ১৪ ডিসেম্বরের পর নির্বাচন কমিশন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের হলফনামার তথ্য ভোটারদের কাছে প্রচারও করবে।

 

 

সর্বশেষ খবর