শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০১৪ ০০:০০ টা
সফল মানুষ

নিজের পণ্য বিদেশে রপ্তানি করতে চান জয়নাল

নাটোরের ঔষধি গ্রামের সফল ভেষজ চাষি জয়নাল আবেদীন উৎপাদিত ভেষজ পণ্য সরাসরি নিজেই বিদেশে রপ্তানি করতে চান। এক সময়ের ব্যবসায়ী জয়নাল আবেদীন ব্যবসা ও কৃষি কাজ ফেলে নেশার মতো এখন সব ফসলি জমি ও বাড়ির আঙিনায় করছেন ভেষজ চাষ। ২০০০ সালে পাঁচ কাঠা জমিতে মিশ্রিদানা, বাসক, শতমূল, ঘৃতকাঞ্চন, নিশিন্দা, শিমুলমূল, ভূই কুমরা ও অশ্বগন্ধা চাষের মাধ্যমে শুরু হয় তার ভেষজ বপনের সূচনা। দুই বছরে ১০ হাজার টাকা খরচ করে আয় হয় ৫০ হাজার টাকা। আস্তে আস্তে জমির পরিমাণ বাড়িয়ে ৩ বিঘা জমিতে করছেন ভেষজ চাষ। তিন বিঘায় খরচ ৯০ হাজার টাকা হলেও প্রতি বছর লাভ হচ্ছে এক লাখ টাকা। ভেষজ চাষ, ভেষজ পণ্য দিয়ে ওষুধ তৈরি ও ভেষজ চাষের পরিধি গোটা এলাকায় বৃদ্ধির জন্য ভেষজ গাছের চারা দিয়ে তৈরি করেছেন বিশাল নার্সারি। তার নার্সারিতে কালোমেঘ, বাসোক, আশোক, শতমূল, শিমুল মূল, রক্তচাণ্ডাল, নিশিন্দা, রাজকণ্ঠ, নীলকণ্ঠ, নাগেশ্বর, বার্লি, ভিনরাজ, হাড়বাসক, মিশ্রিদানা, জ্যৈষ্ঠমধু, হরতকি, আমলকি, বহেরা, জোয়ানবীর, হাতিশ্বর, জলকলস, ফণিরাজ, ফণিমনসা, শ্বেতচন্দন, রক্ত চন্দন ও অশ্বগন্ধাসহ ৭৮ প্রজাতির দুর্লভ ভেষজ গাছের চারা। তার নার্সারিতে এসব গাছের চারা অল্প মূল্যে বিক্রি হয়। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা না থাকলেও সফল ভেষজ চাষি হওয়ার ইচ্ছার কোনো কমতি ছিল না জয়নাল আবেদীনের। তাই তিনি ভেষজ চাষে জ্ঞান বাড়াতে যোগ দিয়েছেন ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানের সভা সেমিনার ও বৃক্ষ মেলায়।

রেডিও-টিভিতে নিয়মিত শুনেছেন এ সংক্রান্ত আলোচনা। এ সবে উৎসাহিত হয়েই মনপ্রাণ দিয়ে শুরু করেছেন ভেষজ চাষ।

সরেজমিনে নাটোর সদর উপজেলার লক্ষ্মীপুর খোলাবাড়িয়া গ্রামের ভেষজ চাষি জয়নাল আবেদীনের বাড়ি গেলে তিনি জানান, উপযুক্ত বাজার ব্যবস্থা না থাকায় ঔষধি বিপ্লব বাধার মুখে পড়েছে। ঔষধি পণ্য বিক্রি না হওয়ায় জয়নাল আবেদীন বাড়িতে এসব দিয়ে গ্যাস্টিক, ডায়াবেটিস, যৌন রোগ ও হার্টের বিভিন্ন সমস্যার ওষুধ তৈরি করে সরবরাহ করছেন। মেজো মেয়ে হালিমা খাতুনের নামে বাড়ির পাশে তৈরি করেছেন ঔষধি বৃক্ষের নার্সারি।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর